২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন হবে: অর্থমন্ত্রী
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অনেকগুলোই অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বলেছেন, এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা সাফল্যের সঙ্গেই অর্জন করেছি। ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করাও সম্ভব।
রবিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী মিডিয়া ট্রেইনিং কর্মশালার উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। টেইনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করে ইন্টার প্রেস সার্ভিস এবং ইউএন ফাউন্ডেশন।
টেকসই উন্নয়ত লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি বিষয় নির্ধারণ করা হয়। সেগুলো হলো: সব ধরনের দারিদ্র্য দূর করা, খাদ্য নিরাপত্তা; সবার জন্য সুস্বাস্থ্য; শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতকরণ; জেন্ডার সমতা অর্জন; সবার জন্য নিরাপদ পানি; সবার জন্য জ্বালানি বা বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; স্থিতিশীল ও অংশগ্রহণমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি; স্থিতিশীল শিল্পায়ন; আন্তঃরাষ্ট্র বৈষম্য বিলোপ; মানব বসতি ও শহরগুলোকে নিরাপদ; উৎপাদন ও ভোগ কাঠামোর স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা; জলবায়ু পরিবর্তন; সম্পদের সঠিক ব্যবহার; স্থলভূমির জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ; ন্যায়বিচার এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের স্থিতিশীলতা আনা৷
আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘দারিদ্রমুক্ত দেশ দেখতে ইতোমধ্যে অনেক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি আমরা। দীর্ঘস্থায়ীভাবে দারিদ্রতার বিরুদ্ধে মোকাবেলা হচ্ছে। ফলে দেশ দারিদ্রমুক্ত হতে বেশি সময় লাগবে না।’
জলবায়ু সমস্যা আমাদের দেশের জন্য অনেক ক্ষতিকর মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে উপকূলীয় এলাকায় খরা ও ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্রুত সময়ের মধেই দারিদ্র সৃষ্টি করে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলো দায়ী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা দায়ী না। চীন ও ভারত কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করছে অথচ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’ জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোর ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ, ইন্টার প্রেস সার্ভিসের মহাপরিচালক ফারহানা হক রহমান এবং আইপিএস এর দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক প্রতিনিধি শহিদুজ্জামান প্রমূখ।
(ঢাকাটাইমস/১৮ডিসেম্বর/জিএম/জেবি)