আরেক হত্যা মামলায় রসু খাঁর ফাঁসি

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ মার্চ ২০১৮, ১৫:২৪ | প্রকাশিত : ০৬ মার্চ ২০১৮, ১৫:২২

চাঁদপুরে আলোচিত পারভীন হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় দেশব্যাপী আলোচিত রসু খাঁসহ তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। চাঁদপুরের নারী ও শিশু আদালতের বিচারক আবদুল মান্নান মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন। এর আগেও একটি হত্যা মামলায় রসু খাঁর ফাঁসির আদেশ হয়েছিল।

অপর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন জহিরুল ইসলাম (৩৫) ও ইউনুছ (৪২)। এদের মধ্যে ইউনুছ পলাতক রয়েছে।

জহির চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর সৈয়াল বাড়ির মো. মোস্তফার ছেলে। ইউনুছ একই বাড়ির মিছির আলীর ছেলে। আর রসু খাঁ চাঁদপুর সদর উপজেলার মদনা গ্রামের মনু খাঁর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২১ জুলাই মধ্য হাঁসা গ্রামের পূর্ব পাশের খালে পালতালুক গ্রামের পারভীনকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে রসু খাঁসহ সাজাপ্রাপ্তরা। পরে লেবু মিয়া পরিচয় দিয়ে পুলিশকে ফোন করে ওই নারীর লাশ ফেলে রাখার কথা জানায় রসু খাঁ। পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে রসু খাঁসহ অন্যদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে।

পরে এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মীর কাশেম পরে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৭জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আদালতের বিচারক এই রায় দেন।

ভালবাসায় হেরে গিয়ে চাঁদপুরের মদনা গ্রামের ছিঁচকে চোর রসু খাঁ এক সময় সিরিয়ার কিলারে পরিণত হন। ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর এক এক করে তার রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের চিত্র বেরিয়ে আসে। নিজের মুখে স্বীকার করে ১১ নারী হত্যার কথা। তার টার্গেট ছিল ১০১টি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর। রসু যাদের হত্যা করেছে তারা প্রত্যেকে ছিলেন পোশাককর্মী।

রসু খাঁ বর্তমানে চাঁদপুর জেলা কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে করা ১১টি মামলার মধ্যে এর আগে দুটি মামলার রায় দেয়া হয়। তার মধ্যে খুলনার দৌলতপুরের নারী পোশাক কর্মী সাহিদা বেগমকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ২০১৫ সালে রসু খাঁর ফাঁসির আদেশ দেয় আরেকটি আদালত। এছাড়া চট্টগ্রামের অপর একটি মামলা তাকে খালাস দেয়া হয়।

ঢাকাটাইমস/৬মার্চ/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :