জাপানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী

শুধু আর্থিক ক্ষেত্রেই নয়, কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর ওপর গুরত্ব দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বলেন, ‘জাপান মেধা ও প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে দ্রুত উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও অর্জন আমাদের কাজে লাগাতে হবে।’

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও অর্জন আমাদের কাজে লাগাতে হবে। জাপান এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। জাপান মেধা ও প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে দ্রুত উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে।’

জাপান বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপানের সংবাদ মাধ্যম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাধীনতার পরপরই জাপান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকেই জাপানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টরে জাপান আমাদের উন্নয়ন অংশীদার।’

জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের যাত্রার মাধ্যমে এদেশের মানুষ জাপান সম্পর্কে জানার এবং আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেবে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।

এ সময় তিনি বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। বলেন, ‘বাংলাদেশও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এবং খাদ্য ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে অতি অল্প সময়ে বিপুল পরিবর্তন হয়েছে।’

‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ কাজ করে যাচ্ছে।’

জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল বারকাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি, প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ সামাদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এনআই/জেবি)