র্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু: মামলা নিয়ে ওসি ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পরস্পর বিরোধী বক্তব্য

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র্যাব হেফাজতে থাকা সুরাইয়া খাতুন (৫২) নামে এক নারী আসামির মৃত্যুর ঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার ভৈরব থানায় করা অপমৃত্যু মামলার বাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে মামলার বিষয়টি অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন তারা কিছুই জানেন না।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৭টায় র্যাব হেফাজতে থাকা সুরাইয়া খাতুন নামের এক নারী আসামি অসুস্থ হলে র্যাব সদস্যরা তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরাইয়া খাতুনকে মৃত্যু ঘোষণা করে। এ ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কিশোরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহানের উপস্থিতিতে মরদেহের সুরতাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বেলা ১টার দিকে নিহতের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। এরপর বেলা ৩টার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বরুণাকান্দা ইউনিয়নের চন্ডিপাশা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
সুরাইয়া খাতুনের ভাশুর সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ভাইয়ের স্ত্রী সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার দাবি করেন তিনি।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার বুলবুল আহমেদ বলেন, শুক্রবার সকালে সুরাইয়া খাতুনকে হাসপাতালে আনেন র্যাবের সদস্যরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশ প্রশাসনকে জানালে ভৈরব থানা পুলিশ ও কিশোরগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। তিনি আরও জানান, থানায় অপমৃত্যু মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের পর নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক মামলার বাদী হয়েছেন । এই ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
(ঢাকাটাইমস/১৮মে/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন