শিক্ষককে ‘পুলিশের মারধর’, থানায় ইটপাটকেল শিক্ষার্থীদের

ময়মনসিংহ প্রতিবেদক
| আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৫৫ | প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৫০

ময়মনসিংহে এক কলেজ শিক্ষককে পুলিশের মারধরের অভিযোগে কোতয়ালী থানা ও ২ নং পুলিশ ফাঁড়িতে ইটপাটকেল ছুঁড়েছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় কয়েকজন ৫ পুলিশ সদস্য ও ৯ শিক্ষার্থীসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার সকালে এ ঘটনায় রাবার বুলেট ছুঁড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যে শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তিনি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তার নাম শেখ মো. শরিফুল আলম।

তিনি বলেন, ‘সকালে নগরীর মাসকান্দার বাসা থেকে কলেজে আসার পথে জিলা স্কুল মোড়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আমার প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে অটোচালকের সঙ্গে আমার বাকবিত-া চলাকালে কিছুটা যানজট হয়। সেখানে একজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আমাকে ধাক্কা দেন।’

‘আমি শিক্ষক পরিচয় দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমাকে মারধর করে ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে সেখানেও গালমন্দ করেন। পরে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।’

জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কোতোয়ালি মডেল থানা ও ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেন।’

‘পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে পাঁচজন পুলিশ সদস্য ও নয়জন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

কলেজের আরেক শিক্ষক মফিজুন নূর খোকা বলেন, ‘শিক্ষককে মারধরের কথা শুনে শিক্ষার্থীরা পুলিশ ফাঁড়ি ও থানায় গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশও তাদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।’

জেলা প্রশাসক ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘শিক্ষককে মারধরের ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে কলেজে যাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে।’

ঢাকা টাইমস/২৩ জানুয়ারি/প্রতিবেদক/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :