অপহরণের চারদিন পর শিশু উদ্ধার, আটক ৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে অপহরণ করা শিশু জিতু মিয়াকে ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার ভোরে ময়মনসিংহ সদর থেকে তাকে উদ্ধার করে র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। এ ঘটনায় সাত অপহরণকারীকে আটক করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রাফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আটক সাতজন হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার খরমপুর গ্রামের লোকমান হোসেন, একই গ্রামের ফোরকান খাদেম, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চক ছত্তরপুর গ্রামের চাঁন মিয়া, কেরয়াটখালী গ্রামের আজিজুল হাকিম, তারাকান্দা উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের খায়রুল ইসলাম, ত্রিশাল উপজেলার কুইস্টা গ্রামের আলমগীর হোসেন এবং ধোবাউড়া উপজেলার এরশাদ আলী।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার রাফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, ২৫ জানুয়ারি বিজয়নগর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের আল আমিনের ছেলে জিতু মিয়া বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দুই দিন পর অপহরণকারী দলের সদস্যরা জিতুর বাবাকে মোবাইল ফোনে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

মুক্তিপণের টাকা কবে-কোথায় দিতে হবে জানতে চাইলে অপহরণকারীরা কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার দুর্জয় মোড়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানায়। বিষয়টি র‌্যাবকে জানায় জিতুর পরিবার।

অভিযোগ পেয়ে র‌্যাব সদস্যরা সোমবার রাত নয়টার দিকে দুর্জয় মোড় থেকে অপহরণকারী দলের সদস্য লোকমান ও ফোরকানকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জিতুকে ময়মনসিংহে আটকে রাখার কথা জানায় তারা। মঙ্গলবার ভোরে ময়মনসিংহ সদরের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে অপহৃত জিতুকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় আরও পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করা হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা যোবায়ের বলেন, অপহৃতের বাবা আল আমিনের সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে চাঁন মিয়ার মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। তাই চাঁন মিয়া অপহরণকারী অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে জিতুকে অপহরণ করে।

ঢাকা টাইমস/ ২৯জানুয়ারি/প্রতিবেদক/ওআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :