প্রথম বিয়ে গোপন ও একাধিক সম্পর্কের ক্ষোভ থেকে স্বামী হত্যা

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩২
প্রতীকী ছবি

প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন ও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষোভ থেকে বাবুর্চি শামীমকে হত্যা করেন দ্বিতীয় স্ত্রী আশা আক্তার। গত শনিবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে শামীমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ফোনকলের সূত্র ধরে বগুড়া থেকে আশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কুসুম দেওয়ান হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

নিহত মো. শামীম পেশায় বাবুর্চি। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। চট্টগ্রামের খুলশী ঢেবার পাড় এলাকায় থাকতেন তিনি। বছর খানেক আগে ফেইসবুকে পরিচয়ের সূত্রে বগুড়ার বাসিন্দা আশাকে বিয়ে করেন শামীম।

কুসুম দেওয়ান বলেন, ‘শামীম তার আগে স্ত্রী ও দুই সন্তান থাকার কথা গোপন করে বগুড়ায় গিয়ে আশাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর শামীমের স্থায়ীভাবে বগুড়ায় থাকার কথা থাকলেও প্রায়ই চট্টগ্রাম চলে আসতেন।’

জিজ্ঞাসাবাদে আশা জানিয়েছে, শামীমকে বগুড়ায় থাকার জন্য এনজিও থেকে ৬৫ হাজার টাকা ঋণ করে একটি ইজি বাইকও কিনে দিয়েছিল। তার আগেও শামীম আশার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিল। তবে বিভিন্ন সময়ে শামীম বগুড়া গেলেও কয়েকদিন থেকে চট্টগ্রামে চলে আসত। ইজি বাইক না চালানোর কারণে শামীমের জন্য আশা চাকরিও ঠিক করেছিল বলে জানিয়েছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এতকিছু করার পরও স্বামীকে নিজের করে না পাওয়ায় ও একাধিক নারীর সাথে মেলামেশার ক্ষোভ থেকে শামীমকে খুন করে আশা।’

সংবাদ সম্মেলনে আশার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডের দুইদিন আগে শামীম বাসাটি ঠিক করে আশাকে আনতে বগুড়া যান। ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে আশাকে নিয়ে চট্টগ্রাম এসে নতুন বাসায় ওঠেন। বাসায় ওঠার পর শামীম ঘুমিয়ে পড়লে আশা তার গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করে আবার বগুড়া চলে যায়। বগুড়া থেকে আসার সময়ই আশা ছুরি কিনে এনেছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে পাহাড়তলী থানার আব্দুল আলী নগর নেছারিয়া মাদ্রাসা এলাকায় ইউসুফ মিয়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে শামীমের গলাকাট লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে একটি মোবাইল ফোনকলের সূত্র ধরে নিহত যুবকের পরিচয় উদঘাটনের পাশাপাশি তার দ্বিতীয় স্ত্রী আশা আক্তারেরও খোঁজ পায় পুলিশ। বগুড়া থেকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার সকালে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয় আশাকে। তিনি বগুড়া সদর উপজেলার ঠনঠনিয়া পাড়ার বাসিন্দা।

পাহাড়তলী থানার ওসি সদীপ দাশ জানান, ‘হত্যাকা-টি এক প্রকার ক্লু-লেস ছিল। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হলেও কোনো মোবাইল সেট উদ্ধার করা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের পর আশা শামীমের মোবাইল সেটও নিয়ে যায়। পরে সেটি ঢাকার রাস্তায় ফেলে দেয়।’

‘শামীম যে বাসায় খুন হয় সেটি ভাড়া নেওয়ার সময় বাড়িওয়ালার মেয়েকে ফোন করেছিল। সেই ফোনকলের সূত্র ধরে আমরা তার পরিবার ও আশার সন্ধান পেতে কাজ শুরু করি। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বগুড়ায় গিয়ে মঙ্গলবার কর্মস্থল থেকে আশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেনী সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের গণইফতারে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

মধ্যরাতে ফের মিয়ানমারের গুলির শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ সীমান্ত

উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক, দুর্ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি

বরগুনা প্রেসক্লাবের নামে ভুয়া কমিটি গঠনের অভিযোগ 

ঝিনাইদহে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৩ প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

যারা ট্রেনে আগুন দেয় তারাই ভাড়া বৃদ্ধির গুজব ছড়ায়: রেলমন্ত্রী

আলফাডাঙ্গায় দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

সিলেটে পিকআপ-লেগুনা সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জন নিহত

অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রক্টর ও সহপাঠী রিমান্ডে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :