মতুয়া ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত ওড়াকান্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক,গোপালগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:১৩

আজ মঙ্গলবার থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৮তম জন্মতিথিতে স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা। সকাল সোয়া ৯টায় হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসুরী ও স্নানোৎসব কমিটির সভাপতি হেমাংশুপতি ঠাকুর এই স্নানোৎসবের উদ্বোধন করেন।

সঙ্গে ছিলেন সচিপতি ঠাকুর, অমিতাভ ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুর ও সুপতি ঠাকুর শিবুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।

স্নান চলবে বুধবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। এই উৎসবকে সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে ঠাকুর বাড়ি এলাকায় সুউচ্চ পর্যবেক্ষণ চৌকি ও সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি মতুয়া সংঘের তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসবক সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন।

কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দিতে লাখ লাখ মতুয়াভক্ত ও হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভক্তরা এখানে স্নান করতে আসেন। তারা পাপ মোচনের জন্য এই যোগস্নান করে থাকেন। স্নানোৎসব উপলক্ষে এখানে প্রতিবছর বসে বারুণী মেলা। মেলা চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। মেলায় শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে কুটির শিল্পের সামগ্রী, বিভিন্ন খেলনা, মাটির জিনিস, বাঁশের জিনিস, তালপাখা, মিষ্টি মন্ডা, খাদ্য সামগ্রীসহ নাগরদোলা।

হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসুরী ও কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর জানান, ‘দেশের বিভিন্ন স্থান ও ভারত, নেপাল এবং শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশের প্রাং ১০ লক্ষাধিক মতুয়া ভক্ত এ স্নানোৎসবে যোগ দেন। ভক্তরা হাতে বিজয় ও সত্যের লাল নিশান এবং বড় ঢোল বাজিয়ে উলু ধ্বনি দিয়ে মাইলের পর মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে আসেন তীর্থভূমি শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে। দূরের ভক্তরা বাস, ট্রাক, নসিমন, করিমন, ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার, নৌ-পথে নৌকা ও ট্রলারে করেও মতুয়াভক্তরা ওড়াকান্দিতে উপস্থিত হয়।

আগত ভক্তরা প্রথমে কামনা ও পরে শান্তি সাগরে (বড় আকৃতির পুকুর) স্নান করে থাকেন।

পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান খান জানান, ‘অনুষ্ঠানটিকে নিরবচ্ছিন্ন করতে পৌনে দুইশত পুলিশ সদস্যের একটি শিফটিং ডিউটি দেয়া হয়েছে। এছাড়া কমিটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক রেখেছে। আশাকরি, কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হবে।’

জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমান বলেন, ‘স্নানোৎসবকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেহেতু এখানে বড় ধরনের জমায়েত হয়, সেই কারণে সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ চৌকি (ওয়াচ টাওয়ার)।’

(ঢাকাটাইমস/২মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :