বগুড়ায় শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটার ধুম

এনাম আহমেদ, বগুড়া
| আপডেট : ০৩ জুন ২০১৯, ০৯:৩৫ | প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০১৯, ০৯:৩২

একেবারেই দোরগোড়ায় চলে এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। উৎসব উদযাপন প্রস্তুতির জন্য হাতে সময় একদমই নেই। তাই ব্যাপক উন্মাদনা নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে ছুটছে বগুড়ার ধনী মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষেরা। শহরের অভিজাত শপিংমল, শপিং সেন্টার, বিপণিবিতান থেকে শুরু করে ফুটপাত সবখানেই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। ইফতারের সময় খানিকটা ক্রেতাদের ভিড় কমলেও ইফতারের আধা ঘণ্টা পর পুনরায় শহরের নিউমার্কেটগুলোতে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। বেচাকেনা চলছে মধ্যরাত অবধি।

বগুড়ায় উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ তিন ধরনের মার্কেটে কেনাকাটা করেন। এবার ঈদে অভিজাত শপিংমল, বিপণিবিতানগুলোতে ঈদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। শহরের জলেশ্বরীতলা এবং নবাববাড়ি রোডে অবস্থিত রানা প্লাজার এসব অভিজাত পোশাকের দোকানে সকাল ১০টার পর থেকেই উচ্চবিত্ত শ্রেণির মানুষদের কেনাকাটার হিড়িক পড়ে যায়। হাজার হাজার টাকার পোশাক তারা অনায়াসেই কিনে ফেলছেন। পোশাক পছন্দ হলেই সেলসম্যানকে দেখিয়ে দিচ্ছেন, দাম তোয়াক্কা করছেন না। জলেশ্বরীতলার অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে মেয়েদের ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা মূল্যের সাথী কাতান, ১০ হাজার টাকায় সিল্কের বিভিন্ন ধরনের শাড়ি কিনছে ক্রেতারা। ফ্যাশনের শীর্ষে রয়েছে জর্জেট ও নেটের তৈরি ফ্লোর টাচ জামা।

বগুড়ার মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষগুলো বেশিরভাগ কেনাকাটা করেন নিউমার্কেট এবং শেখ শরীফ উদ্দিন সুপার মার্কেট থেকে। এই দুই মার্কেটে তাদের পছন্দ এবং সাধে মধ্যে কাপড় চোপড় পাওয়া যায়।

এদিকে বগুড়ার নিম্ন আয়ের মানুষেরা কেনাকাটা করেন শহরের রেলওয়ে আদর্শ হকার্স মার্কেট এবং এই মার্কেটের পাশেই রেলাইনের উপরে ‘হঠাৎ মার্কেট’ থেকে। নিম্ন আয়ের মানুষদের কেনাকাটার জন্য উপযুক্ত একটি মার্কেট এটি। এখানে খুব সস্তায় পোশাক পাওয়া যায়। তাই নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদেরও এই মার্কেটে দেখা যায়।

রেললাইনের উপরেই মার্কেট তাই প্রতিদিন ট্রেনে করে বগুড়ার পার্শ্ববর্তী নওগাঁ, গাইবান্ধা এবং বগুড়াসহ আরও ছয় জেলার মানুষ শহরে কেনাকাটার জন্য আসে। এছাড়াও বাস যোগে জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা থেকেও এখানে মার্কেট করার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসে।

জয়পুরহাটের কালাই থেকে আব্দুল বাসেদ এসেছেন রেললাইনের উপর অবস্থিত হঠাৎ মার্কেটে। তিনি কৃষক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি জানালেন, দুপুরের দিকে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে মার্কেটে ঢুকেছেন। মার্কেটের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ঘুরে ফিরেও তিনি তার প্রয়োজন মতো কাপড় কিনতে পারেননি। তার চার ছেলেমেয়ের মধ্যে মাত্র দুজনের কেনাকাটা করতে পেরেছেন। কারণ যে টাকা তিনি নিয়ে এসেছিলেন মার্কেটের জন্য তার প্রায় সবটাই শেষ হয়ে গেছে। বাড়ি ফিরে দুই মেয়েকে কী বলবেন সেটা নিয়ে চিন্তিত তিনি।

হঠাৎ মার্কেটের মায়াবি ক্লোথ স্টোরের ইমন শেখ জানালেন, তাদের বেচাকেনা একদমই নেই। এক বছর আগে তারা এই সময় বিক্রি করেছেন প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা কিন্তু এবার তাদের দিনে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার মাল বিক্রি করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। যেহেতু এই মার্কেটের অধিকাংশ ক্রেতা কৃষক শ্রেণির সেহেতু তাদের ব্যবসা নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।

দামে সস্তা হওয়ার পরেও এবার বিক্রি খুব ভালো হচ্ছে না বলে জানালেন এই মার্কেটের অধিকাংশ ব্যবসায়ী। কারণ হিসেবে তারা বললেন, কৃষকরা এবার বোরো ধান চাষ করে লাভ করতে পারেনি। লোকসান গুণে তাদের পকেটে টাকা নেই একদম তাই ঈদের কেনাকাটা তাদের কাছে দুঃসাধ্য হয়ে গেছে।

ঢাকাটাইমস/৩জুন/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেন প্রধানমন্ত্রী: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

সাতক্ষীরায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

উপজেলা নির্বাচন: মির্জাপুরে ১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট আসিম জাওয়াদ

বরিশালে মাদকসহ চার নারী-পুরুষ গ্রেপ্তার 

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লড়াইয়ে ছাত্রলীগ সর্বতোভাবে পাশে থাকবে: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী

দিনাজপুরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা: আহত ২৫

উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

চাঁদপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা, বেনাপোলে আটক

মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদের মরদেহ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :