তীব্র গরমে পুড়ছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ জুন ২০১৯, ১৩:৪২

ভারতে তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্ষা মৌসুম আসার আগে উত্তর ভারতে ১২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ভারতের ইতিহাসে ৬৫ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই রেকর্ড হিট স্ট্রোক ও পানির সঙ্কটের বিষয়ে সতর্ক সঙ্কেত দিচ্ছে।

রাজস্থানের মরুশহর ছুরুতে এই মাসের প্রথম দিনে ১২৩.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৫০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। এটি ছিল রাজস্থানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়া রাজ্যের বেশিরভাগ স্থানে ১১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার আশেপাশে ছিল।

তিন বছর আগে ১৯মে ২০১৬ সালে রাজস্থানের ফালোডিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। দেশটির ইতিহাসে সেটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। সেসময় ১২৩.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়।

বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে থেকেই প্রচণ্ড গরমে হাপিত্যেস করছে ভারতের রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দারা। প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে উত্তর ভারতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।

তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে রেড এলার্ট জারি করে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস। গরমে সব বয়সি লোকই ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন বলেও সতর্ক করে দেওয়া হয়। এছাড়া তুলনামূলক দুর্বল ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ যত্ন নেয়ার কথা বলে ভারতের আবহাওয়া অফিস।

এসব রাজ্যের নদী ও খাল শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। এসব রাজ্যে মারাত্মক পানি সঙ্কট দেখা দেবে বলে দেশটির একটি সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিছু লোক এই ঘাটতির সময় পানি সংরক্ষণ করার জন্য তাদের কাপড় ধুয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

তবে তাপমাত্রা ভয়াবহতা ও পানি সঙ্কট অনেকটা কাটিয়ে দেয় বর্ষা মৌসুম। প্রচুর বৃষ্টির কারণে সেখানে পানি সঙ্কট কয়েকমাস কম থাকে। তবে এবার ১৯৫৪ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি তাপদাহের শিকার হয়েছে উত্তর ভারতের এসব রাজ্য। বর্ষার পূর্বে তীব্র গরমের শিকার হয়েছেন বাসিন্দারা। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত সময়কে বর্ষা পূর্ব সময় হিসেবে গণনা করে ভারত।

চলতি বছরে বর্ষাপূর্ব সময়ে মাত্র ৩.৯০ ইঞ্চি (৯৯ মিলিমিটার) বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। ১৯৫৪ সালের পর থেকে এমন মৌসুম ২০১২ সালে পার করেছে ভারত। সেসময় বর্ষা পূর্ব মৌসুমে মাত্র ৩.৫৬ ইঞ্চি (৯০.৫ মিলিমিটার) বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। ১৯৫৪ সালে একই সময়ে মাত্র ৩.৭০ইঞ্চি (৯৩.৯ মিলিমিটার) বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়ার এমন অবস্থা থেকে সচেতন এবং আরও সতর্ক হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তা না হলে পানি সঙ্কট আরও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

ঢাকা টাইমস/২৪জুন/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, গ্রেপ্তার কয়েকশ

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত অংশীদার হওয়া, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়: শি জিনপিং

গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের বিচার হবে কি না? প্রশ্নে বিভক্ত মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট

যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীর ৯ মাসের জেল

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের নতুন প্রস্তাব ইসরায়েলের

তানজানিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৫৫ 

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট চলছে

কলকাতা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ মমতার

ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার, পালালো শতাধিক বন্দি 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :