জড়িত ১৬ প্রভাবশালী

মাদারীপুরে চর দখল করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক

সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর
 | প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:১৪

মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদীর শাখা কুমার নদের মুখে চর পড়ে শুকিয়ে শীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এই সুযোগে কুমার নদের জেগে ওঠা চরে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একের পর এক নতুন নতুন স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করছে স্থানীয়রা। মাদারীপুর শহরঘেঁষা পুরান বাজারের রাস্তি এলাকায় চর দখল করে বেশ কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণের সঙ্গে প্রভাবশালী ১৬ জন জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি জোট গঠন করে গত শুকনো মৌসুমে বালি দ্বারা ভরাট অংশ উঁচু করে তা দলিলবিহীন দখল দেখিয়ে বিক্রি করে স্থানীয়দের কাছে। এর দ্বারা হাতিয়ে নেয় কোটি টাকা। স্থানীয়রা নদের জায়গায় বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসায় বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমার নদের জমি দখল করে বাদল মোল্লা নামের একজন পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। তিনি এই জমি কিনে স্থাপনা নির্মাণ করছেন বলে দাবি করেছেন। যদিও জমি কেনার কোনো দলিল বা কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। দুজন প্রভাবশালীর কাছ থেকে তিনি দখল নিয়েছেন বলে স্থনীয় এক ব্যবসায়ী জানান। কোনো কাগজ বা দলিল না থাকায় দখলদাররা মৌখিকভাবে পজিশন জমি বিক্রি করেছেন বলে জানান বাদল মোল্লা। সরকারি জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কারো অনুমতি নিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের কোন জবাব দিতে পারেননি তিনি।

অনুসন্ধানের জানা গেছে, বাদল মোল্লা ছাড়াও বাদশা বেপারী, রুপাই, সুফিয়া বেগম, বাচ্চু বেপারী, আনোয়ারসহ অনেকে জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।

খবর নিয়ে জানা গেছে, পূর্ব রাস্তি মৌজার ২৯৪ নম্বর খতিয়ানের এসএ ৯৯০ নম্বর দাগের তিন একর জমির মধ্যে দুই একর ২০ শতাংশ জমি বিভিন্ন মালিকের নামে রেকর্ড রয়েছে এবং তারা ভোগ দখলে আছেন। ওই তিন একরের মধ্যে ৮০ শতাংশ ও অন্যান্য দাগের প্রায় চার একরসহ প্রায় পাঁচ একর জমি নদী সিকস্তী হিসেবে ১/১ খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের নামে বিআরএস এর মাঠ জরিপে রেকর্ডভুক্ত করা হয়।

সরকারের সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে স্থানীয় প্রভাবশালী ১৬ জনের একটি গ্রুপের নেতৃত্বে নদী সিকস্তী জমি ভরাট করে বিভিন্ন লোকের কাছে দলিলবিহীন বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।

দখলদারির অভিযোগ থাকা বাদল মোল্লা এ ব্যাপারে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের কেনা সম্পত্তি এখানে আছে। তারপরেও যদি সরকারি জমিতে ঘর করে থাকি, সরকার চাইলে ভেঙে দেবো।’

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফউদ্দিন গিয়াস ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে নদি সিকস্তী ও খাস জমি কেউ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে থাকলে তা উচ্ছেদ করা হবে। এসিল্যান্ড এ ব্যাপারে আমাকে কিছু জানাননি। আমি তাকে ডেকে তদন্ত করে বিষয়টি সুরাহা করবো।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :