উইঘুরদের সমর্থনে টুইট মুছে ফেলতে বাধ্য হলেন আফ্রিদি
বর্তমানে সবচেয়ে নির্যাতিত চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের ওপর দেশটির সরকারের নির্যাতনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি টুইট বার্তায় অনুরোধ করেছিলেন দেশটির সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তিনি বাধ্য হয়ে টুইট বার্তাটি মুছে ফেলেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য কারেন্ট জানায়, গত রবিবার শহীদ আফ্রিদি এক টুইট বার্তায় লিখেন, ‘চীনের উইঘুর মুসলমানদের ওপর যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, তা হৃদয়বিদারক। আমি পিটিআই সরকার প্রধান ইমরান খানকে অনুরোধ করছি এর বিরুদ্ধে কথা বলতে’।
এছাড়া টুইট বার্তায় মুসলমান উম্মার সঙ্গে চীনা ভাই-বোনদেরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতকেও উইঘুর মুসলিমদের নিপীড়নের বিষয়ে কথা বলার আহ্বান জানান।
কিন্তু পোস্ট দেওয়ার মাত্র ১৮ মিনিট পরেই আফ্রিদি টুইটটি মুছে ফেলেন।
তার টুইট বার্তার পরেই অন্যান্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব চীনের মুসলমানদের প্রতি তাদের সমর্থন জানাতে শুরু করেছে। টুইট মুছে ফেলার ঘটনায় তার ভক্তরা হতাশ হয়েছেন। কারণ তারা আশা করেছিলেন যে, শহীদ আফ্রিদিকে অনুসরণ করে অন্যান্য ব্যক্তিরাও উইঘুর মুসলিমদের প্রতি নির্যাতনের প্রতিবাদ করবেন।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, শহীদ আফ্রিদি’র টুইটের বিষয়ে চীনের প্রতিক্রিয়ার কারণে তার টুইটটি মুছে ফেলা হয়। তার টুইট সম্পর্কে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল লিজিয়ান জেহাও বলেন, ‘চীনের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের মিথ্যা প্রচারণায় আফ্রিদি প্রভাবিত হয়েছেন। পশ্চিমারা চীনকে দুর্বল এবং নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মুসলিমদের অনুভূতি নিয়ে কাজ করছে।’ (ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/আরআর)