শুকনো মৌসুমেও রাজবাড়ীর পদ্মায় ভাঙন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:২৪

রাজবাড়ীতে শুকনো মৌসুমেও হঠাৎ পদ্মা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। ছোট হয়ে আসছে জেলার আয়তন।

তবে নদী ভাঙন রোধে জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস আছে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন নেই। যে কারণে প্রতি বছর পদ্মা নদীর ভাঙনে বসতি ও আবাদি জমি নদীতে চলে যায়। নিঃস্ব হয়ে গেছে মানুষ।

জেলা সদর, কালুখালী, পাংশা ও গোয়ালন্দ উপজেলা পদ্মানদী তীরবর্তী। প্রতি বছর পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের কবলে পড়ে শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ছেন। নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে শত শত একর ফসলি জমি।

গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের কাওয়াজানি, হোসেন মোল্লারপাড়া, আজাহার মাতব্বারপাড়া, আজিজ সরদারপাড়া, নতুনপাড়া, বেপারীপাড়া ও ঢল্লাপাড়ার এলাকায় ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী গর্ভে চলে গেছে টমেটো, বেগুন, পেঁয়াজ-রসুন, সরিষা, মরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি।

অন্যদিকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার গড়াই নদীতে জঙ্গল ও নারুয়া ইউনিয়নের বড়বিলা, বাকসাডাঙ্গি, নারুয়া, সমাধিনগর এলাকায় নদী ভাঙন চলছে বছরজুড়েই।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রভাবশালীরা গড়াই নদী থেকে শুষ্ক মওসুমে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে প্রতিবছরই বর্ষা ও শুষ্ক মওসুমে গড়াই নদীতে ব্যাপক ভাঙন চলে।

নদীতে ভাঙনকবলিত মোবারক মুন্সি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস আছে। তবে বাস্তবায়ন নেই। যে কারণে প্রতিবছর পদ্মা নদীর ভাঙনে বসতি ও আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে যায়। আর নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে গৃহহীন হয়ে রাস্তার পাশে বসবাস করছেন অনেকে।

মজিবুর রহমান বলেন, এখন শুকনো মৌসুম। নদী শাসন করার উপযুক্ত সময়। কিন্তু কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে অসময়েও নদী ভাঙনে শত শত একর ফসলি জমি নদীতে চলে যাচ্ছে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে পদ্মার ভাঙন রয়েছে। এর মধ্যে পাংশার হাবাসপুর, কালুখালীর রতনদিয়া, শাহ মীরপুর, সদরের মিজানপুর ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও দেবগ্রামের বিভিন্ন স্থান ভাঙনকবলিত। এই ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রতিরোধের জন্য রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ডিপিপি প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে। যা অনুমোদন হলে মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করতে পারবে।

(ঢাকাটাইমস/১৮জানুয়ারি/কেএম/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :