‘ভবিষ্যৎ জ্বালানির প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছে বিসিএসআইআর’

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জ্বালানি গবেষণা ও উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আয়োজনে জ্বালানিবিষয়ক কর্মশালা হয়েছে। ‘টেকসই উন্নয়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তা গবেষণা ও সম্প্রসারণ: প্রত্যাশা ও করণীয়’ শীর্ষক অংশীজন কর্মশালা মঙ্গলবার আইএফএসটি সেমিনার কক্ষে হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদস্য (প্রশাসন) আব্দুল মাবুদ। সভাপতিত্ব করেন পরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ জামাল।
কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সিদ্দিক জোবায়ের এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।
ফারুক আহমেদ বলেন, অর্থনীতির জীবনী শক্তি হলো জ্বালানি। দেশের উন্নয়নের জন্য আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী সুনির্দিষ্টভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছি। এ অগ্রযাত্রায় আমরা সবার পরামর্শ কামনা করছি।
আব্দুল মাবুদ বলেন, জ্বালানি উৎপাদন, সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্য উপযোগীভাবে ব্যবহার করা প্রয়োজন। আজকের ওয়ার্কশপের বিশেষজ্ঞদের পরার্মশ ও উত্তরণের উপায়গুলো নিয়ে পরবর্তীতে আরো ফলপ্রসু গবেষণা করবে বিসিএসআইআর।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সিদ্দিক জোবায়ের এবং ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, আমাদের সৌরশক্তি, জীবাশ্ম জ্বালানি, পেট্রোল, ডিজেল, ফার্নেস ওয়েল, কয়লা, নিউক্লিয়ার, উইন্ডমিল, বায়োগ্যাস ইত্যাদি জ্বালানির গবেষণা করে টেকসই জ্বালানি প্রযুক্তির গুরুত্ব বেশি দিতে হবে। জ্বালানি অপচয়রোধ এবং স্টোরেজ করার লক্ষে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন।
তারা বলেন, পৃথিবীতে যে পরিমাণ গ্যাস আছে তা ৭০ বছরের মতো ব্যবহার করা যেতে পারে তেলের পর্যাপ্ততাও এক সময়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে। সুতরাং আমাদের সৌর বিদ্যুৎ, হাইড্রোজেন ও উইন্ড এনার্জি নিয়ে ন্যানো টেকনোলজি বেইজ গবেষণায় এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত দেন। পাশাপাশি এ প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি নিয়ে গড়ে উঠা শিল্পোদ্যোক্তারাও তাদের গুরুত্বপূর্ণ অভিমত দেন।
(ঢাকাটাইমস/৫ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)

মন্তব্য করুন