ভিপি নুরুর ওপর হামলা: মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের দুজনের জামিন
ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগিদের ওপর হামলার মামলায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তুর্জের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ জামিন মঞ্জুর করেছেন। বিষয়টি বুধবার জানা গেছে।
আসামিদের পক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু এবং ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মামুন জামিনের আবেদন করেন।
গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আসামিদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারেই ছিলেন।
গত বছরের ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মামুন-বুলবুল গ্রুপের ৩৫/৪০ জন নেতাকর্মী টেলিনর কর্তৃক রাষ্ট্রপতি বরাবর উকিল নোটিশ দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে গ্রুপের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে মধুর ক্যান্টিনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথে ডাকসুর সামনে পৌঁছলে সেখানে উপস্থিত ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা মামুন, রাশেদ, ফারুকসহ ২০/২৫ জন নেতাকর্মীর সাথে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্ত্যক্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে তাদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপিত হয়। একপর্যায়ে নুরসহ তার সাথে থাকা অন্যান্য কর্মীরা ডাকসু ভবনে প্রবেশ করেন। তখন এই তিন আসামি ও এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জন লাঠিসোটা ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকসু ভবনে প্রবেশ করে ভিপি নুর ও তার অনুসারীদের এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। সে সময় ডাকসুর ভিপির রুমের জানালার কাচ, চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন তারা। ওই ঘটনায় ভিপি নুর, মামুন, রাশেদ, ফারুক, মেহেদী হাসানসহ তুহিন ফারাবী গুরুতর জখম হন। পরে শাহবাগ থানাধীন নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ রইচ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/ইএস