সমাজের জন্য কিছু করতে চাই: সুইটি

বিনোদন প্রতিবেদক
  প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৪৭| আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:০০
অ- অ+

তানভীন সুইটি। নাট্য জগতের একটি সুপরিচিত নাম। প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। কাজ করেছেন থিয়েটার, টেলিভিশন, এমনকি চলচ্চিত্রেও। ‘গোধূলী লগনে’ নাটকটি দিয়ে তার ছোটপর্দায় যাত্রা শুরু হয়েছিল। যদিও বর্তমানে তাকে আগের চেয়ে কম দেখা যায় অভিনয়ে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুইটি জানালেন তার অভিনয় জীবনের নানা বিষয় সম্পর্কে।

নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন

পেশায় আমি একজন অভিনেত্রী, এটা সবাই জানেন। নতুন করে কিছু বলার নেই।

আপনার অভিনয় যাত্রার গল্পটা শুনতে চাই

কেউই বলতে পারে না, ভবিষ্যত তাকে কোথায় নিয়ে যাবে। আমি মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। তারপর থিয়েটার স্কুলে অভিনয়ের উপর এক বছরের প্রশিক্ষণ নিই। এরপর থিয়েটারে কাজ শুরু করি। যেটা পরবর্তীতে আমাকে টেলিভিশনের পর্দায় পৌঁছে দেয়।

কেরিয়ার গঠনে কাকে অনুপ্রেরণা মনে করেন?

খুব অল্প বয়সে অভিনয় জগতে এসেছিলাম। থিয়েটারে কাজ করার সময় নিয়মিত ফেরদৌসী মজুমদার এবং সুবর্ণা মুস্তাফা আপার নাটক দেখতাম। তাদের অভিনয় আমাকে সত্যি খুব অনুপ্রাণিত করেছে। এর বাইরে পরিবার থেকেও সবসময় যথেষ্ট অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ পেয়েছি, পাচ্ছি।

সবসময় কি অভিনয়শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন?

না, অভিনয়শিল্পী আসলে হয়ে গেছি। বাবা চাইতেন, আমি আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করি। কিন্তু আমি যেহেতু অল্প বয়সে অভিনয় শুরু করি, তাই ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম যে, এই পথেই আমার টান বেশি।

আপনার অভিনয়-সংশ্লিষ্ট প্রিয় স্মৃতি কোনটি?

অভিনয় জীবনে আমার অনেক ভালো স্মৃতি আছে। তাই যেকোনো একটা বলা অসম্ভব। সহকর্মীদের সঙ্গে বিদেশ ঘোরার স্মৃতি তো সবসময় মনে পড়ে। বহুদিন আগের ঘটনা। আমি সিঙ্গাপুরের মোস্তফা মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। সেখানে লুঙ্গি পরা এক বাংলাদেশিকে দেখতে পাই। তখন আমার কী হয়েছিল জানি না। আমি ‘বাঙালি ভাই’ বলে চিৎকার করে উঠলাম। সেই ঘটনা মনে পড়লে এখনো হাসি পায়।

একজন অভিনয়শিল্পীর জীবন আসলে কেমন?

অভিনয়শিল্পীদের জীবন সাধারণ মানুষদের মতোই। অভিনয় আমাদের কাজ। এর বাইরে কিন্তু আমরা আর পাঁচজন নারীর মতো ঘরবাড়ি পরিষ্কার করি, খাবার রান্না করি, পরিবারের দেখভাল করি। বাইরে বের হলে যারা কাছে এসে ছবি তোলে বা অটোগ্রাফ নেন, তারা আমাদের একটু ভিন্ন মানুষ মনে করেন।

একজন ভালো অভিনয়শিল্পীর কী কী গুণ থাকা জরুরি?

আমি মনে করি, একজন ভালো অভিনয়শিল্পীর উচ্চারণ ঠিক হতে হবে। এছাড়া সময়জ্ঞান, ধৈর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং জ্যেষ্ঠদের সম্মান করার মতো কিছু গুণ থাকতে হবে। ডেডিকেশন এবং সম্মান যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী পাঁচ বছরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

আমি বলতে পারব না। শুধু এটুকু বলতে পারি, আমৃত্যু অভিনয় করব। মানুষের পাশে দাড়াতে চাই, সাহায্য করতে চাই। মানুষ বড় কিছু হলে সমাজের প্রতি তার দায়িত্বও বেড়ে যায়। তাই সমাজ ও অভিনয়শিল্পীদের জন্য কিছু করতে চাই। মোটকথা, ভালো মানুষ হতে চাই।

আপনার হাতে বর্তমানে কী কী কাজ আছে?

দুটি সিরিজে কাজ করছি। একটি আকরাম খানের ‘কালের যাত্রা’ এবং অন্যটি সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের ‘ভালোবাসার অনেক রঙ’। দুটি কাজই খুব ভালো হয়েছে। শিগগিরই মুক্তি পাবে।

দর্শকদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দেবেন?

আমরা খুব খারাপ সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। চারিদিকে নানা রোগের উপদ্রব। তাই অবশ্যই শিশুদের যত্ন নিতে হবে। তারাই আমাদের ভবিষ্যত।

ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/এএইচ

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ডেমরায় গণধর্ষণ মামলার আসামি মিঠুন গ্রেপ্তার
মবের জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
চট্টগ্রামের রাউজানে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
‘সংস্কার কমিশনের আগে সংস্কার জরুরি’
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা