দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় রেডজোন ঘোষণা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ মে ২০২০, ২০:১৬ | প্রকাশিত : ২৬ মে ২০২০, ১২:১৬

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এবার এক পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন। ওই পুলিশ সদস্য (২৫) রাজবাড়ী জেলা পুলিশ লাইন থেকে গোয়ালন্দে কর্তব্য পালন করছিলেন। তাকে মঙ্গলবার রাজবাড়ী জেলা পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। তার সংস্পর্শে থাকা সব সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ওই পুলিশ সদস্যের সংস্পর্শে থাকা আরো ১০ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. নুরুল ইসলাম জানান, গোয়ালন্দে আটজনের মধ্যে শুধুমাত্র দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পুলিশসহ আটজনই করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাট সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির বুকিং কাউন্টার পর্যন্ত এলাকাকে গত সোমবার থেকে রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে।

তিনি জানান, ওই এলাকায় মানুষের চলাফেরা সতর্কতা অবলম্বনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে ওই এক কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, থানার নিয়মিত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি কর্তব্য পালনে জেলা পুলিশ লাইন থেকেও অতিরিক্ত সদস্য আনা হয়। করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত পুলিশ সদস্যকে জেলা পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। তার সংস্পর্শে থাকা বাকি সদস্যদের দুটি ভাগে গোয়ালন্দ বাজার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন এবং শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

ইউএনও রুবায়েত হায়াত বলেন, করোনা সংকট মোকাবেলায় সর্বত্র সচেতনতা চালানো হচ্ছে। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এলাকার জনসাধারণকে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় কর্মরত পাঁচ কর্মী, তাদের আবাসিক মেসের সহকারীসহ (বুয়া) স্থানীয় এক কিশোরীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।

গত ২৩ মার্চ বিআইডব্লিউটিসির আবাসিক মেসের দুই কর্মীর প্রথম নমুনা সংগ্রহ করলে ২৬ মার্চ প্রতিবেদনে প্রথম দুজনের করোনা শনাক্ত হয়। তাদের শরীরে সর্দি, জ্বরসহ করোনার উপসর্গ ছিল। পরবর্তীতে ২৭ এপ্রিল তাদের সংস্পর্শে থাকা ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৩০ এপ্রিল মেসের আরো তিন কর্মীর করোনা শনাক্ত হয়। বাকি দুই কর্মীর নেগেটিভ এলেও ওই দুজনকে মেসে লকডাউন করে রাখা হয়। অবশিষ্ট কর্মী ও বিআইডব্লিউটিসির কাউন্টারে কর্মরত আনসার সদস্য এবং মেসের দুই কাজের সহকারীসহ (বুয়া) ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩ মে। গত ৬ মে মেসের কাজের এক সহকারীর (বুয়া) পজিটিভ আসে। এই সহকারীর কোনো উপসর্গ ছিল না।

১০ মে মেসের সহকারীর পরিবারসহ আশপাশ এলাকার ১৫ জন এবং অন্যান্য আরো সাতজনের করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৩ মে সন্ধ্যায় আসা ফলাফলে দৌলতদিয়া সাইনবোর্ড এলাকায় আদুরি নামের এক কিশোরীর করোনা শনাক্তের খবর আসে। কিশোরীর কোনো ধরনের করোনা উপসর্গ ছিল না। তাকে ওই দিন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হয়। এ নিয়ে গোয়ালন্দে মোট আটজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :