বিড়ি শ্রমিকদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে: প্রজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ মে ২০২০, ২০:০২

বিড়ি শ্রমিকদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে বলে জানিয়েছে তামাক বিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা। তাদের ভাষ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গবেষণা বলছে বাংলাদেশে বিড়ি-শ্রমিক ৪৬ হাজার অথচ কারখানা মালিকদের দাবি ২০ লাখ।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ দাবি করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করতে প্রতিবছর বাজেট ঘোষণার আগে বিড়ি মালিক এবং কিছু সুবিধাভোগী বিড়ি শ্রমিক নেতা শ্রমিকদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার করেন। তারা দাবি তোলেন বিড়ির কর বাড়ানো হলে দেশের বিড়ি কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং ২০-৩০ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। বিড়ি শ্রমিকদের সংখ্যা নিয়ে যে কাল্পনিক তথ্য তারা বছরের পর বছর দিয়ে থাকেন, তা মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘দি রেভিনিউ অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট আউটকাম অব বিড়ি ট্যাক্সেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে বিড়ি শিল্পে কর্মরত নিয়মিত-অনিয়মিত এবং চুক্তিভিক্তিক মিলিয়ে পূর্ণসময় কাজ করার সমতুল্য শ্রমিক সংখ্যা মাত্র ৪৬ হাজার ৯১৬ জন। বিড়ি শিল্পের কাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং মজুরিও খুব কম, মাসে গড় আয় মাত্র এক হাজার ৯৭২ টাকা। একজনের আয়ে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিবারের শিশু, নারীসহ সকলকেই বিড়ি তৈরির ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সম্পৃক্ত হতে হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে বিড়ির কার্যকর মূল্য বৃদ্ধির জন্য সম্পূরক শুল্কের পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করার সুপারিশ করা হয়েছে। বিড়ির কর ও মূল্য কার্যকরভাবে বৃদ্ধি করা হলে, কয়েক লাখ বর্তমান এবং ভবিষ্যত বিড়ি ধূমপায়ীর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে এবং বিড়ি থেকে রাজস্ব আয় বেড়ে যাবে দ্বিগুণেরও বেশি।

গবেষণায় বলা হয়, বিড়ি খাত থেকে প্রাপ্ত বাড়তি রাজস্ব দিয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হলে খুব সহজেই এই ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। সরকারিভাবে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলে ৭৮.৪ শতাংশ বিড়ি শ্রমিক এই ক্ষতিকর পেশা ছেড়ে দিতে চায় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বিড়ির করকাঠামো পরিবর্তনসহ একাধিক সুপারিশের মধ্যে রয়েছে বিড়ির সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা এবং এখান থেকে অর্জিত বাড়তি রাজস্ব দিয়ে বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা; বিড়ির ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক/এক্সাইজ ট্যাক্স এর একটি অংশ সুনির্দিষ্ট কর আকারে আরোপ করা; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এবং এনবিআরের যৌথ সমন্বয়ের মাধ্যমে যেসব জেলায় বিড়ি কারখানা রয়েছে সেখানে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিকল্প কর্মসংস্থান অনুসন্ধান করা; বিড়ি শ্রমিকদের ক্ষতিকর পেশা থেকে সরিয়ে নিতে এনজিও, বিড়ি শ্রমিকদের সংগঠন এবং সিভিল সোসাইটি সংগঠনকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করা এবং নারী, শিশু, বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে অক্ষম বিড়ি শ্রমিকদের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।

ঢাকাটাইমস/২৯মে/এএ/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

ভর্তুকি কমানোর পদক্ষেপ জানতে চায় আইএমএফ

ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং অফিসারদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা

বাপেক্স ও এস.সি ইউরো গ্যাস সিস্টেমস এস.আর.এল রোমানিয়ার মধ্যে চুক্তি

সোনার দাম কমলো ভরিতে ২১৩৯ টাকা

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর নতুন ৫টি কালেকশন বুথের উদ্বোধন

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন নুরুল ইসলাম মজুমদার

প্রিমিয়ার ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবু জাফর

সোনালী লাইফের অফিস ভাড়াকে ভবনের ক্রয়মূল্যের অগ্রিম পরিশোধ দেখানোর দাবি

ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ করতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ডিভাইস বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :