স্বাদ, গন্ধ ও মিষ্টতায় অন্যতম নাক ফজলি আম

বাজারে এখন নানা জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো নাক ফজলি আম। নামটি অনেকের কাছে অপরিচিত হলেও ইদানিং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এর চাহিদা দিনদিন বেড়েই চলেছে। স্বাদ, গন্ধ ও মিষ্টতায় অন্যতম এ আমটি শুধু নওগাঁর ধামইরহাট ও জয়পুরহাট জেলায় উৎপাদন হয়। উপজেলার গ্রামের মেঠোপথ আর অলিগলিতে তাকালেই চোখে পড়বে শত শত বিঘা জমিতে নানান জাতের আমের বাগান। এ আম একটু শক্ত হওয়ায় পচে কম। তাই দীর্ঘদিন ঘরে রেখে খাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘নাক ফজলি আম অত্যন্ত সুমিষ্ট ও আগাম জাত। আকারে ফজলির আমের মতো হলেও নিচের দিকে দেখতে একটু নাক আকৃতির। স্বাদ, গন্ধ ও মিষ্টতায় অন্যতম এই আম আকারে লম্বাটে, পরিপক্ক অবস্থায় ৩০০-৪০০ গ্রাম হয়। এ আম ফজলি আমের চেয়ে ২৫-৩০ দিন আগে পাকে, দেখতেও পাতলা। মিষ্টতায় এ আম হাড়িভাংগার সাথে তুলনা করা যায়। জুনের প্রথম সপ্তাহ হতে পাওয়া গেলেও ১০ তারিখের পর হতে ধামইরহাট ও জয়পুরহাটে ভরদমে পাওয়া যাবে এ আম। ধামইরহাটের উৎপাদিত আম দেশের বিভিন্ন জেলায় বিপনন করতে কৃষি দপ্তর থেকে একটি প্রত্যয়নও প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় নাক ফজলি আমের জাত ছড়িয়ে দিতে অমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ে নাক ফজলি আমের বিপণন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলায় প্রায় ৬৭০ হেক্টর জমিতে ছোট-বড়ো আমের বাগান আছে। এ বছর উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০৪০ মেট্রিক টন।
গত মঙ্গলবার কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজার উপস্থিতিতে উপজেলার (দেওয়ান পাড়া) রামরামপুর এলাকায় আমচাষি মিলন দেওয়ান ও রতন দেওয়ানের আম বাগান থেকে নামানো নাক ফজলি আমের বিপণন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলার আম ক্রেতা আব্দুল আজিজ জানান, তিনি প্রতি বছর ২০০ থেকে ২৫০ মণ আম রাজধানী ঢাকায় বিক্রয় করেন। এছাড়া নাক ফজলি, রুপালি, লেংড়া, বারি ফোর ও খিরসাপাতি আম ক্রয় করে ঢাকার পাটুয়াটুলি এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজে পরিবহন করে তা পাইকারী ও খুচরা বিক্রয় করেন। এতে প্রতি সিজনে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় হয় তার।
ঢাকাটাইমস/১১জুন/পিএল

মন্তব্য করুন