নজরুলের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের কাজ করবে সরকার: ফারুকী

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় তাঁর স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের কাজ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে এই সরকারের আমলে হয়তো স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের কাজ শেষ হবে না। পরবর্তীতে যে সরকার আসবে তাদেরকে এই কাজটা শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
রবিবার বিকালে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত নজরুল জন্মবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জাতীয় কবিকে একজন বর্ণাঢ্য চরিত্রের মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘নজরুলকে নিয়ে সিনেমা বানালে তা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হবে। তাঁর দর্শন ছিলো অসাধারণ। সেই দর্শন এখনো সময়ের চেয়ে অগ্রগামী।’
তিনি আরও বলেন, ‘নজরুল ইন্সটিটিউট তাঁর লেখা অনুবাদের কাজ করছে। এখানে সরকারি কোনো প্রোপাগান্ডা থাকবে না। একটি সত্যিকারের কাজ হবে।’নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘গত জুলাই মাসজুড়ে আন্দোলনের সময় দেয়ালে লেখা নজরুলের কবিতা, গান প্রমাণ করে—শিল্প কীভাবে সমাজ বদলায়। ১০০ বছর আগে লেখা কবিতা আজো গণঅভ্যুত্থানের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে। নজরুলের শক্তিই হলো শিল্পের শক্তি।’
এবার নজরুল জন্মবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. মফিদুর রহমান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক সলিমুল্লাহ খান। স্বাগত বক্তব্য দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবি আবদুল হাই শিকদার এবং কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে সোমবার (২৬ মে) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দৌলতপুরে অনুষ্ঠান হবে। ২৭ মে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে সমাপনী আয়োজন। ওই দিন প্রধান অতিথি থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করবেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
(ঢাকা টাইমস/২৫মে/এসএ)

মন্তব্য করুন