গুরুতর অসুস্থ নুসরাত ফারিয়া

একদিন জেল খেটে কারামুক্ত হওয়া চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
শুক্রবার দুপুরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন নায়িকা। পোস্টে দ্রুত সুস্থ হয়ে সবার মাঝে ফিরে আসবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ঢাকা টাইমস পাঠকদের জন্য নুসরাত ফারিয়ার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
“আমি জানি, আপনারা অনেকেই আমার খোঁজখবর, ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করছেন। আপনাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ আমাকে সত্যিই ছুঁয়ে যাচ্ছে। তবে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি। চিকিৎসার অংশ হিসেবে এখন কিছু সময়ের জন্য বাইরের সঙ্গে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে—ফোন ব্যবহারের ওপরও রয়েছে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা।”
“এই পরিস্থিতিতে কারো সঙ্গে কথা বলতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করি, আপনারা বিষয়টি বুঝবেন।”
“আমি বিশ্বাস করি, এই কঠিন সময়টা দ্রুতই পেরিয়ে আবার সুস্থভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারব।”
“গত কয়েকদিন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও সাহচর্য আমাকে এগিয়ে চলার শক্তি দিয়েছে।”
“আপনাদের সকলের প্রতি—আপামর জনসাধারণ, প্রতি আমি হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞ।”
“বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বন্ধুদের, যাদের মানবিকতা ও ইতিবাচক ভূমিকাটি এই সময়ে আমার জন্য ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক।”
“আপনারা পাশে না থাকলে হয়তো এত দ্রুত নিজের ভেতরের সাহস খুঁজে পেতাম না। আমি আজীবন মনে রাখব এই ভালোবাসা ও নিরন্তর সহমর্মিতার কথা।”
“সবার প্রতি রইল আন্তরিক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। খুব শিগগিরই আবার দেখা হবে।”
এর আগে গত রবিবার সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে নুসরাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর একদিন পর তাকে জামিনে মুক্তি দেন আদালত।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক (৩৫)। ৩ মে তিনি ঢাকার সিএমএম আদালতে ২৮৩ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেন। এর মধ্যে নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে আসামি করা হয়।
আদালতের নির্দেশে মামলাটি ৩ মে এজাহার হিসেবে রেকর্ড হয়। মামলা করার দুই সপ্তাহ পর গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাতকে।
(ঢাকাটাইমস/২৩মে/এলএম/এফএ)

মন্তব্য করুন