পাহাড় কাটতে গিয়ে ধরা চারজনকে জেলে পাঠালো ভ্যাম্যমান আদালত
খাগড়াছড়ির শালবন এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে মাটি পাচার করার সময় দুইটি ট্রাক্টরসহ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল কুমার হালদার পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এই চারজনের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধ করার জন্য এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় দুটি ট্রাক্টর, পাহাড় কাটা মাটি ও মাটিকাটার বিভিন্ন সরঞ্জামও জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর উপধারা ১৫ (১) এর ৫ এর বিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক সরকারী বা আধা-সরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করা যাবে না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, ‘এই আইন লঙ্ঘনের অপরাধে আটককৃত চারজনকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড যা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।’
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাই পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে কেউ ব্যক্তিগত বা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
প্রতি বর্ষায় ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এর অন্যতম কারণ অবাধে পাহাড় কাটা। পাহাড় ধসের ঘটনায় প্রাণহানিও হয়। এরপরও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা প্রশাসনের কোন প্রকার ছাড়পত্র ছাড়াই খাগড়াছড়িতে থামছে না পাহাড় খেকোদের উৎপাত। জেলা সদরের একাধিক স্থানে নানা অজুহাতে পাহাড় কাটছে একটি চক্র। পাহাড় কেটে তা ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে অন্যত্র।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/ডিএম)