খ্যাতি, অর্থ থাকলেও অবসাদ হয়: দীপিকা

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৫ জুন ২০২০, ১১:১১
অ- অ+

অর্থ-বিত্তে আলোর ঝলকানির মাঝে থাকলেও তারকাদের জীবনেও যে চূড়ান্ত হতাশা আসে, বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর আবারও তা প্রমাণিত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, খ্যাতির শীর্ষে থাকা সুশান্ত আত্মঘাতী হয়েছেন হতাশা থেকে। ঠিক এরকমই খ্যাতির শীর্ষে থাকা অবস্থায় চূড়ান্ত অবসাদে ভুগেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনও।

বলিউডের দীপিকার সাফল্য আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। একের পর এক ব্লকবাস্টারের পরও মানসিক অবসাদে ভুগেছেন তিনি। একাধিকবার দীপিকা এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। এমনকি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছেন তিনি।

সুশান্তের মৃত্যুতে ইনস্টাগ্রামে মানসিক স্বাস্থ্যের কথাই লিখেছেন দীপিকা। তিনি লিখেছেন, ‘মানসিক সমস্যায় আমিও ভুগেছি। আমি জানি কথা বলাটা কতটা জরুরি। কথা বলুন। নিজেকে প্রকাশ করুন। প্রয়োজনে সাহায্য চান। মনে রাখবেন আপনি একা নন। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। আর সবথেকে বড় কথা সবকিছুর শেষে আশা আছে।’

দীপিকা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘অনেকেই ভুল ভাবেন। ভাবেন, খ্যাতি, অর্থ থাকলে অবসাদ হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এটা আসলে একটা ক্লিনিক্যাল কন্ডিশন। এটা কারও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে না।’

তারকা ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার প্রকাশ পাডুকোনের কন্যা দীপিকা। অল্প বয়সেই নিজের স্বপ্ন পূরণে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বাই। প্রথমে মডেলিং ও পরে অভিনয়ে সফল কেরিয়ার। বলিউডে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র বলা যেতে পারেই। খ্যাতি, টাকা সবকিছুতেই অনেককে ছাপিয়ে সফল তিনি। অথচ সেই মেয়েটিই অবসাদে ভুগেছিলেন।

তখন তিনি খ্যাতির শীর্ষে। হাতে সিনেমার অভাব নেই। হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের মেঝেতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান দীপিকা। বাড়ির পরিচারিকা এসে উদ্ধার করেন তাকে। ডাক্তারের কাছে যান তিনি। দেখা যায় তার রক্তচাপ ওঠানামা করছে।

কিছুটা ক্লান্ত লাগতে শুরু করে। বেশ কিছুদিন বাড়িতে ঘুমিয়েই কাটান তিনি। কোথাও বেরতেন না, কারও সঙ্গে দেখা করতেন না। ব্যাক্তিগত এবং পেশাগত ক্ষেত্রে যখন তার সবথেকে বেশি খুশি থাকার কথা, সেরকম একটা সময়ে অবসাদে ভুগবেন, একথা নিজেও বিশ্বাস করতে পারেননি দীপিকা।

এরপর থেকেই সবকিছু বদলাতে শুরু করে। একা থাকলেই অজানা কষ্টে ভুগতে শুরু করেন তিনি। এরপর মুম্বাইতে কিছুদিনের জন্য তার পরিবারের সবাই আসেন। কাউকেই নিজের অবস্থার কথা বুঝিয়ে বলতে পারেননি দীপিকা। যেদিন পরিবারের সবাই চলে যাচ্ছে, সেদিন হঠাৎ কেঁদে ফেলেন তিনি।

যে মেয়ে এত সাহসী, তার চোখে জল ভাবিয়ে তুলেছিল মা উজ্জ্বলা পাড়ুকোনকে। তার মাই সঠিক সময়ে বিষয়টা ধরতে পারেন। তিনিই এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। পারিবারিক বন্ধু সেই চিকিৎসক দীপিকার গলা শুনেই বুঝতে পারেন, এটা ‘ডিপ্রেশন’। এরপরই শুরু হয় চিকিৎসা।

ঢাকা টাইমস/১৫জুন/একে

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যেন একটা মাফিয়া সংগঠন!
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর দিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন শফিকুল আলম
এসআই সুকান্তকে কারাগারে প্রেরণ 
চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর, আসছে ৩ দিনের ছুটি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা