হারিয়ে যাওয়া খুশি সাত বছর পর উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ জুলাই ২০২০, ১৯:৪৬
অ- অ+

সাত বছর আগে হারিয়ে যাওয়া খুশি আরাকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) গুলশান থানা পুলিশ। পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করেছে। অভাবের তাড়নায় সাত বছর আগে গৃহকর্মীর কাজ করতে ঢাকায় আসেন খুশি। পরে পথ হারিয়ে বাসা চিনতে না পারায় সাত বছর অন্যের ঘরে ঠাঁই নেয়।

খুশি আরা দিনাজপুরের খানসামা থানার গুচ্ছগ্রাম পাকেরহাট গ্রামের আজিজার রহমানের মেয়ে। গরিব বাবার সংসার থেকে ২০১২ সালে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের একটি বাসায় ঝিয়ের কাজ করতে আসেন।

নিকেতনের যে বাসায় খুশি কাজ করতেন, সে বাসার মালিক মাসুদুজ্জামান সরকারের বাড়িও একই থানা এলাকায়। মাসুদুজ্জামানের অনুরোধেই খুশির বাবা তাকে বাসায় কাজ করার জন্য পাঠায়। তখন খুশির বয়স ছিল ১১ বছর।

খুশি টানা এক বছর মাসুদুজ্জামানের বাসায় কাজ করেন। এরপর ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ বাসা থেকে কোথায় যেন চলে যান।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মাকসুদুজ্জামান। পাশাপাশি মাসুদুজ্জামান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিংসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। কিন্তু কোন হদিস মিলেনি খুশি আরার।

অপরদিকে মেয়ের কোন সন্ধান না পাওয়ায় খুশির বাবা মাসুদুজ্জামানসহ তার পরিবারের কয়েকজনের বিরুদ্ধে দিনাজপুর জেলার আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। আদালত খানসামা থানাকে নিয়মিত মামলা রুজু করে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলাটি খানসামা থানা পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত করেন পিবিআই ও সিআইডি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে।

গত ৩০ জুন গুলশান থানা পুলিশ বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারে খুশি বনানী থানার কড়াইল বস্তিতে বসবাস করছেন। খবর পেয়ে গুলশান থানা পুলিশ কড়াইল বস্তির বউ বাজারের একটি বাসা থেকে খুশিকে উদ্ধার করে নিরাপদ হেফাজতে নেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জাবিরুল ইসলাম খুশিকে আদালতে উপস্থাপনের জন্য গুলশান থানা থেকে নিজ হেফাজতে নিয়ে আসেন।

খুশি আরাকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন খুশি বাসা থেকে হঠাৎ বের হয়ে পথ হারিয়ে ফেলেন। পথ খুঁজে না পেয়ে সে হাটতে হাটতে গুলশান থানার গুদারাঘাট এলাকায় রাস্তার পাশে গাছের নিচে বসে কান্না করছিলেন। গুলশান ১ ডিসিসি মার্কেটের ক্লিনার মনোয়ারা বেগম (খোকনের মা) তাকে কাঁদতে দেখে তার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। খুশি তার নাম ছাড়া আর কিছুই বলতে না পারায় মনোয়ারা বেগম কড়াইল বস্তিতে তার বাসায় নিয়ে যান এবং তিনিই খুশি আরাকে দীর্ঘ সাত বছর লালন পালন করেন।

ঢাকাটাইমস/০৫ জুলাই/এএ/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মাদকবিরোধী অভিযানের নামে লুটপাট, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের ভাইসহ তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত
গোলাম দস্তগীর পরিবারের ৩০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ
সিটি কলেজে অনিয়ম তদন্তে ‘বাধা দিতেই’ কিচ্ছা-কাহিনী নির্ভর সংবাদ সম্মেলন, নেওয়া হবে ব্যবস্থা
ফিরে দেখা ৯ জুলাই: দেশজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ ঘোষণা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা