রেকর্ড গড়ল সুশান্তের শেষ ছবি (ভিডিও)

বিনোদন ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২৫ জুলাই ২০২০, ১০:৪৬| আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২০, ১১:৫৫
অ- অ+

বলিউডের বিখ্যাত কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়াই সুশান্ত সিং রাজপুতকে প্রথম হিন্দি সিনেমার জন্য বেছে নিয়েছিলেন। প্রয়াত অভিনেতার অভিষেক ছবি ‘কাই পো চে’র কাস্টিং ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। আর এবার তাকেই বলিউডে পরিচালক হওয়ার প্রথম ধাপ পাস করিয়ে দিলেন সুশান্ত। পৃথিবীর যেমন নিয়ম দেয়া-নেয়া। শুক্রবার মুক্তি পেল সুশান্ত অভিনীত শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’।

তবে পরিচালক ও নায়কের কেরিয়ারের একটা দিক খানিকটা আলাদা হয়ে গেল। কারণ পরিচালক মুকেশের প্রথম ছবি হয়ে রইল সুশান্তের জীবনের শেষ ছবি। এদিকে, ২৪ জুলাই ২০২০ অর্থাৎ শুক্রবারকে ‘দিল বেচারা দিবস’ বললেও ভুল বলা হবে না। কারণ, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর তার এই শেষ ছবি দেখার থেকেও বেশি ছিল ছবিটি উদযাপনের।

সুশান্তের সহকর্মী, প্রিয় মানুষ, বন্ধু, পরিবার এবং সর্বোপরি ভক্তরা এদিন সকাল থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন ‘দিল বেচারা’ দেখার জন্য। যারা ‘দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস’ দেখেছেন, তারাও যেন এই ছবিতে নতুন কিছু দেখার আশায় বসেছিলেন। আসলে, সেটা ছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের অভিনয় ও তাকে শেষবার স্ক্রিনে দেখার এক বিষাদময় আনন্দ।

তবে এই ছবি দর্শকদের মনে যেভাবে থেকে গেল, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসেও গড়ে তুলল রেকর্ড। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তি পেয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুত ও সঞ্জনা সাংঘি জুটির ছবি ‘দিল বেচারা’। ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ (IMDB) এই ছবির রেটিং দিয়েছে ১০-এ ৯.৯। অর্থাৎ, ১০।

ছবির গল্পটা খুব সহজ। ট্রেলারের শুরুতে যেমনটা বলা হয় আর কী। ‘এক ছিল রাজা, এক ছিল রানি। দুইজনই মরে গেল, শেষ কাহিনি।’ ছবিটাও ঠিক ততটাই। কিন্তু তারই মাঝে জীবনকে উপভোগ করার পাঠ রয়েছে গল্পের প্রতি ইঞ্চিতে। অদ্ভুত বিষয় হল, যে মানুষটা এই জীবনের পাঠ দিতে দিতে গেলেন গোটা ছবিজুড়ে, তিনি আচমকাই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন মাত্র ৩৪ বছর বয়সে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে।

সুশান্ত সিং রাজপুত, ছবিতে যার নাম ম্যানি। সে কিজি অর্থাৎ সঞ্জনা সাংঘিকে শেখায় কীভাবে বাঁচতে হয়। ছবিটা দেখতে দেখতে এই মুহূর্তগুলোতে আপনার মনের মধ্যে এসে যেতে পারে, অভিনেতা সুশান্তের অসংখ্য সাক্ষাৎকারের ছবি। যেখানে তিনি বলছেন, ‘আমি বড় করে স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি।’

ছবির গল্পে রয়েছে, নায়িকার থাইরয়েড ক্যানসার। তাকে সর্বক্ষণ অক্সিজেন সিলিন্ডার বয়ে বেড়াতে হয়। রেগি মিলারের জার্সিতে স্বপ্নের রাজকুমারের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় তার। অক্সিজেন পাইপের মাধ্যমেই ঘটে জীবনের প্রথম চুমু। কিন্তু অত্যন্ত চাপে থাকা কিজি ও তার মা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় কিছুতেই যেন বুঝতে পারেন না জীবনকে নিয়ে কীভাবে এগিয়ে যাবেন। সেখানেই সূর্যের রশ্মি হয়ে আলোকপাত ম্যানির। ছবিতে স্বস্তিকার স্বামীর চরিত্রে রয়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।

করোনার কালবেলায় এই ছবি বড় পর্দায় মুক্তি পেল না। কিন্তু এই ছবি বড় পর্দায় দেখারই। কারণ, ছবিতে বড় মনের এক মানুষকে দেখানো হয়েছে ছোট ছোট জিনিসে কীভাবে বড় করে বাঁচা যায় তার পাঠ দিতে। ১ ঘণ্টা ৪১ মিনিট ৩০ সেকেন্ড এই ছবির জন্য বড্ড কমই মনে হয়। কিন্তু শেষে রয়েছে একটা শূন্যতা। একটা মন খারাপের সুর। যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে, এমন একটা অনুভূতি। সত্যি হয়ও তাই।

সেলিব্রিটিদের পাশাপাশি ‘দিল বেচারা’কে নিয়ে নানা মানুষ নিজেদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি শেয়ার করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু একটা অনুভূতিই আর কোনো দিন জানা যাবে না, ছবির নায়কের। তবে ভার্সেটাইল অভিনেতার সংজ্ঞা দিতে হলে এরপর থেকে বলিউডপ্রেমীরা অবশ্যই সুশান্ত সিং রাজপুতের নাম নেবে।

ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এএইচ

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নোয়াখালীতে বন্দুকসহ মাদক কারবারি আটক 
যেভাবে আওয়ামী লীগবিরোধী মুখ হয়ে ওঠেন আন্দালিব পার্থ
কলাবাগানে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দৃষ্টিনন্দন-পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক শাটল গাড়ির যাত্রা শুরু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা