বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতেও বঙ্গবন্ধু প্রাসঙ্গিক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ, দূরদর্শিতা, নীতি ও মূল্যবোধ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও অনুকরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব এবং সমসাময়িক বিশ্বে এর প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নব্য স্বাধীন হওয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরও বঙ্গবন্ধু বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে কখনো পিছপা হননি। তিনি সারা জীবন ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন,যা এখন সমসাময়িক বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বঙ্গবন্ধুকে পরমত সহিষ্ণুতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সহিংসতা ও যুদ্ধ বিগ্রহের বড় কারণ অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা। পরমত সহিষ্ণুতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সকলের প্রতি ছিল তার অগাধ ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধু তার শত্রুকেও শ্রদ্ধা করতেন। বঙ্গবন্ধুর বিরোধী পক্ষও তার অসাধারণ নেতৃত্ব ও মানবিক গুণাবলীর প্রশংসা করতেন।’
বঙ্গবন্ধু তার দেশের জনগণকে ভালোবাসতেন। যেটা বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় শক্তি ও দুর্বলতা যোগ করেন মোমেন।
বঙ্গবন্ধুর মত দূরদর্শী নেতৃত্ব পৃথিবীর খুব কম ব্যক্তিই অর্জন করতে পেরেছে জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সত্যিকারের গণমানুষের নেতা ছিলেন এবং ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। এ মহান নেতা তার স্বপ্নকে অনুসারীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। আমরা এখনো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
প্রজন্মের পর প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোমেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মানুষের মন থেকে মুছে ফেলার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, কর্ম ও অর্জন লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখবে।’
(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/এনআই/জেবি)

মন্তব্য করুন