ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি ভুক্তভোগীর
ভোলায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ছাত্রলীগ নেতা মামুন হাওলাদারের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ৫-৬ মাস আগে আমার খালার বাসা ভোলার সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে বেড়াতে যাই। এরপর ওই এলাকার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মামুন হাওলাদারের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরে মামুন হাওলাদার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে আমাকে কল করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি তার প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় সে আমাকে বিরক্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে আমাকে বিয়ে করাসহ নানা প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর তার সঙ্গে আমার ফোনে কথা চলতে থাকে। সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে মামুন আমাকে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমাকে বিয়ে করার কথা বলে তার খালা হাফসা বেগমকে দেখাইতে তার বাসায় নিয়ে যায়। হাফসা বেগম আমাদেরকে ঘরের একটি কক্ষে রেখে দরজা বন্ধ করে দেয়। সেখানে মামুন আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিন্তু পরে আমি মামুনকে বিয়ে করার কথা বললে মামুন বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। এ অবস্থায় গত ২ সেপ্টেম্বর মামুনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করি। কিন্তু মামলার দেড় মাস পার হলেও পুলিশ মামুনকে গ্রেপ্তার করে নি।’
ভুক্তভোগী আরও বলেন, ‘আমি পুলিশকে আসামি গ্রেপ্তারের কথা বললে পুলিশ বলে আমরা আসামিকে পাই না। কিন্তু আসামি মামুন প্রায়ই তার এলাকায় অবস্থান করে বলে আমি বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি।’
ওই কলেজছাত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার হলেও আমার মামলাটির বেলায় সম্পূর্ণ উল্টো। আমার মামলার দেড় মাস হয়ে গেলেও পুলিশ কেনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারে নি। আমি বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেইসঙ্গে ধর্ষক মামুন ও তার সহযোগী হাফসা বেগমের গ্রেপ্তারসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।’
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, তার মা, খালা, নানা, চাচা, ফুপাতো ভাই।
এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, ‘আমরা আসামি মামুনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। কিন্তু আসামি ভোলায় না থাকায় তাকে আটক করা যায় নি। তবে তার মোবাইল ট্র্যাকিং করে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’