গাইবান্ধায় হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চের সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
গাইবান্ধায় ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং হাসান হত্যার বিচার ত্বরাণ্বিত করার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে `হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ‘।
রবিবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা চেম্বার ভবনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাত দিনের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম গোলাপ।
ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যার বিচার দাবিতে গড়ে ওঠা হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ গাইবান্ধার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন, ছাত্র-যুব ও নারী সংগঠন, ক্রীড়া ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় শেষে নতুন এই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।
তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে সাত দিনব্যাপী সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কালোপতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাচ ধারণ এবং ২ মে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার মার্কেটের সামনে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি।
এর আগে গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ নেতৃবৃন্দের চেম্বার ভবনে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঞ্চের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- চেম্বার সভাপতি শহিদুল ইসলাম শান্ত, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকছুদার রহমান শাহান, জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জনি, জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাবু, জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি কাজী মকবুল হোসেন মুকুল, চেম্বার পরিচালক মির্জা হাসান, সঞ্জু, খান মো. সাঈদ হোসেন জসিম, পিন্টু ভট্টাচার্য, ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের জেলা সভাপতি ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
সভায় জেলা সিপিবির সভাপতি মিহির ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, সাবেক সভাপতি ওয়াজিউর রহমান র্যাফেল, গণফোরাম জেলা সভাপতি ময়নুল ইসলাম রাজা, বাসদ মার্কসবাদী নেতা কাজী আবু রাহেন শফিউল্যাহ, গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবীর তনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা, অবিলম্বে হাসান হত্যার সাথে জড়িত সকল আসামির গ্রেপ্তার, গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমানকে অপসারণসহ অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ও অপর এএসআইকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচার, হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং জেলায় অবৈধ দাদন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলা শহরের খানকা শরিফ সংলগ্ন নারায়ণপুর এলাকার জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক দাদন ব্যবসায়ী মাসুদ রানার বাড়ি থেকে গত ১০ এপ্রিল (শনিবার) সকালে হাসান আলী (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পাদুকা ব্যবসায়ী এবং আফজাল সুজ গাইবান্ধা শাখার সাবেক মালিক নিহত হাসান আলী শহরের থানাপাড়া এলাকার মৃত হজরত আলীর ছেলে।
(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/এলএ)