নেত্রকোনায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, স্বামী আটক

নেত্রকোনা জেলা শহরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রানী আক্তারকে (২৫) গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক স্বামী মোজাম্মেল হককে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ। রবিবার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার সাকের আহম্মেদ জানান, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়তলী বানীহারি ইউনিয়নের কুলংকা গ্রামের বকুল খাঁর ছেলে মোজাম্মেল হকের সঙ্গে ১৪ বছর আগে একই গ্রামের আব্দুল মন্নাফের মেয়ে রানী আক্তারের বিয়ে হয়। তিন মাস আগে দাম্পত্য কলহের কারণে রানী আক্তার মোজাম্মেলকে তালাক দেন।

শনিবার মোজাম্মেল হক জানতে পারেন, তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রানী আক্তার নেত্রকোনা জেলা শহরের সাতপাইস্থ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে তার ছোট বোনের ভাড়া বাসায় বেড়াতে এসেছেন। তিনি একটি ধারালো ছুরি নিয়ে ছোট বোনের বাসা থেকে কৌশলে রানী আক্তারকে বের করে এনে গলায় ধারালো ছুরি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা চালান। এ সময় রানী আক্তারের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মোজাম্মেল দৌড়ে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন রানী আক্তারকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সির দিকনির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ খন্দকার সাকের আহম্মেদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ওসি তদন্ত সোহেল রানার নেতৃত্বে একটি টিম আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত স্বামী মোজাম্মেল হককে দূর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি থেকে আটক করে।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত মোজাম্মেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে তার দেখানো স্থান থেকেই হত্যা প্রচেষ্টায় ব্যবহৃত ছুরিটি পুলিশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রবিবার দুপুরে আটককৃত মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করে।

পরে পুলিশ বিকালে আটককৃত মোজাম্মেলকে আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/এআর)