জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য ও পরিবারের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের সহযোগিতায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ক্লাবের প্রায় চার শ সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিনা মূল্যে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।

বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে কিডনি সম্পর্কিত ‘এস ক্রিয়েটিনিন’ ও লিভার সম্পর্কিত ‘এসজিপিটি (এলটি)’ পরীক্ষা, রক্তের নমুনা সংগ্রহ এবং ব্লাডপ্রেশার চেক-আপ। এ ছাড়া ছিল শারীরিক বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ।

৯ ও ১২ মে আয়োজিত দুই দিনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পটি উদ্বোধন করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ ও বারাকাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. রুহুল আমিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইউব ভূঁইয়া, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কাজী রওনক হোসেন, কোষাধ্যক্ষ বখতিয়ার রানা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মমিন হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক এ কে এম মহসীন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম এবং ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের এজিএম মুহা. হাফিজুর রহমান, বারাকাহ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ডিরেক্টর মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (বিপণন ও মিডিয়া) হোসাইন মোহাম্মদ দুলাল, পাবলিক রিলেশন অফিসার মোহাম্মদ সোহরাব আকন্দ, বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পের কো-অর্ডিনেটর মো. হিরো মিয়া প্রমুখ।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন, ‘আমরা সদস্যদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার প্রয়াস নিয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা। এ কাজে সকলের সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, মানুষের যতগুলো সম্পদ আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্য হলো সকল সুখের মূল। ইনসাফ বারাকাহ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি সাংবাদিক বান্ধব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বারাকাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. রুহুল আমিন বলেন, সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজের ধারাবাহিকতায় ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের পক্ষ থেকে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পর আয়োজন করা হয়।

ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে এজিএম মুহা. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিক সমাজের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই প্রচেষ্টার অংশ হতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।’

(ঢাকাটাইমস/১২মে/মোআ)