সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার্জশিট
অর্থ আত্মসাতের মামলায় সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান ও তার সহযোগী হাসানুজ্জামান আজমের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সৈয়দপুর বিজ্ঞ আমলী আদালত-২ থেকে এ তথ্য জানা যায়। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়ার মরহুম আকতার হোসেন বাদলের স্ত্রী রাফিকা আক্তার জাহান এবং শহরের নয়াটোলার বাসিন্দা মোজাফ্ফর হোসেন এর ছেলে মো. হাসানুজ্জামান আজম।
পরবর্তীতে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরেও রাফিকা আকতার জাহান গাউসুল আযমকে নকশা অনুমোদন না দিয়ে দিনের পর দিন বিভিন্ন রকম তালবাহানা ও হয়রানি করতে থাকেন এবং আরো এক লাখ টাকা দাবি করেন। এতে রাজী না হলে তিনি গাউসুল আযমকে আবার হয়রানি করতে থাকেন। একপর্যায়ে গাউসুল আযম ফারুকী মেয়রের কাছে টাকা ফেরত চাইলে মেয়র টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। নিরুপায় হয়ে গাউসুল আযম মেয়রের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আমলী আদালত সৈয়দপুর নীলফামারীতে মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে অধিকতর তদন্তের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে আদেশ দেন। সিআইডি নীলফামারী এর পরিদর্শক একেএম খন্দকার মুহিবুল দীর্ঘদিন মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দন্ডবিধি ৪০৬/৪২০ ধারায় অভিযুক্ত করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
গাউসুল আযম ফারুকী জানান, ফৌজদারি মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামীর মেয়র পদে থাকার কোন এখতিয়ার নেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মেয়রকে বরখাস্ত করার জন্য আবেদন করা হবে। প্রয়োজনে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেন তার নিকটতম। তাবে ব্যাস্ততার কথা বলে ফোন কেটে দেন। মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুর আসাদুজ্জামান মিশন জানান, মামলার বাদী তার বাসায় লিফট স্থাপনের নকশা অনুমোদনের জন্য সাবেক মেয়রের সময়ে আবেদন করলেও না পেয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়। বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর আমলী আদালত-২ এর নির্দেশে সমন জারি করা হয়।(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/এআর)