বোয়ালমারীতে তিনদিন ব্যাপী কাটাগড়ের মেলা

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাটাগড়ের মেলা। উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড় গ্রামের আধ্যাত্মিক সাধক দেওয়ান শাগির শাহর (রহ.) মাজারের বার্ষিক ওরস উপলক্ষে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় এ মেলা।
কয়েকশত বছর ধরে অনুষ্ঠিত এ মেলায় প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। প্রতি বছর ২৬ মার্চ বাংলা ১২ চৈত্র শাগির শাহর (রহ.) উরস উপলক্ষে তিন দিনের এ মেলা। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনদিনের মেলা হলেও এক সপ্তাহ আগের থেকে বসতে শুরু করে এ মেলা। মেলা শেষেও সপ্তাহব্যাপী চলে মেলার আমেজ।
এ বছর মেলায় বসেছে দুই থেকে তিন শত মিষ্টির দোকান ও খাবার হোটেল, ফার্নিচার সামগ্রীসহ হরেক রকম খেলনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় গৃহস্থালি সামগ্রীর কয়েক হাজার দোকান। একইসঙ্গে রয়েছে নাগরদোলা, যাদু প্রদর্শনী, ভ্যারাইটি শো, মোটরবাইক শো।
গ্রামীণ ঐতিহ্যের এ মেলায় পাওয়া যায় সাঁজ বাতাশা, তালের পাখা, বাঁশের তৈরি নানা রকম খেলনা, তৈজসপত্র, চুরি- ফিতা, দা, বটি, চাকু, ছুরি থেকে শুরু করে লাখ টাকা দামের কাঠের ফার্নিচার সামগ্রী। মেলা উপলক্ষে আশপাশের বেশ কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা মেতে উঠেছে উৎসবের আমেজে। নানা এলাকা থেকে ছুটে এসেছেন আত্মীয়-স্বজনরাও।
শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইস্রাফিল মোল্যা বলেন, কাটাগড়ের মেলা আমাদের এলাকার ঐতিহ্য। এ মেলাকে ঘিরেই এলাকায় বইছে উৎসবের আমেজ। গ্রামের অনেক মানুষ যারা জীবিকার সন্ধানে এলাকার বাইরে থাকেন ঈদ বা পূজাতে তারা বাড়িতে না এলেও মেলাকে সামনে রেখে বাড়িতে আসে।
রুপাপাত ইউনিয়েনের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজার রহমান বলেন, ‘কাটাগড় মেলা এই এলাকায় নাম করা একটি মেলা। মেলায় এক সময় ঘোড়া দৌঁড় হতো।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল আমীন জানান, এটি একটা পুরাতন মেলা। আমরা পুলিশ প্রশাসন থেকে মেলার শৃংঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে একটি দল মেলা নিয়োজিত রাখবো।
(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/এসএ)

মন্তব্য করুন