এডিপিভুক্ত প্রকল্পে ডিসির দায়িত্ব: আন্দোলনের হুঁশিয়ারি প্রকৌশলীদের
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৮ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে জেলা প্রশাসকদেরকে (ডিসি) এডিপিভুক্ত শতভাগ প্রকল্প পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের দায়িত্ব দেয়। প্রকৌশলীদের ওপর ‘খবরদারির’ এই দায়িত্ব ডিসিদের দেওয়ায় দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশের প্রকৌশলীরা। তাই অবিলম্বে এ প্রজ্ঞাপন বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের (আইইবি) ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, গত ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি ডিসি সম্মেলনে ডিসি কর্তৃক প্রকল্পের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন নিশ্চিত করা সম্পর্কিত অযৌক্তিক দাবি উত্থাপন করা হয়। ওই সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী সেই দাবি নাকচ করে দেন। এরপরও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৮ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে ডিসিদেরকে এডিপিভুক্ত শতভাগ প্রকল্প পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের দায়িত্ব অর্পন করে।
শাহাদাৎ বলেন, মাঠ পর্যায়ের প্রকল্প নির্বাহী প্রকৌশলীদের নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হয়। আর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীরা সরাসরি এসব প্রকল্পের কার্যক্রম মূল্যায়ণ ও তদারকি করে থাকেন। এ অবস্থায় ডিসিদের প্রকৌশলীদের ওপর খবরদারির দায়িত্ব দেওয়ায় দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিলম্বিত হচ্ছে। অবিলম্বে এ প্রজ্ঞাপন বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন প্রকৌশলীরা। সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হয়ে আমরা আন্দোলনে যেতে চাই না।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইইবির প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা নতুন প্রকৌশলীদের সরকারি চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহিত করছি। আর এসব প্রকৌশলী যাতে সহজে ঋণ সুবিধা পায় সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
নুরুল হুদা বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রকৌশলীদের সনদ জমা রেখে ঋণ সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। এটা করা সম্ভব হলে নতুন প্রকৌশলীরা চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করবে। তাহলে দেশের উন্নতি হবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৬মে/কেআর/কেএম)