কাল আদালতে তোলা হবে পি কে হালদারকে, প্রয়োজনে ফের রিমান্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ মে ২০২২, ২১:০২ | প্রকাশিত : ২৬ মে ২০২২, ২০:৫৭

ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশের কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যাংক জালিয়াতির হোতা প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ পাঁচজনকে ফের রিমান্ডে চাইবে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-ইডি। এনআরবি গ্লোবাল, রিলায়েন্স ফাইন্যান্সসহ একাধিক আর্থিক দুর্নীতির হোতা পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার আদালতে তোলা হবে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রের খবর।

ইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুর ২টার পর কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে স্পেশাল সিবিআই ১ নম্বর কোর্টে বিচারক মাসুক হোসেইন খানের সামনে তাদের হাজির করা হবে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজন হলে অভিযুক্ত পি কে হালদার, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার, স্বপন মৈত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, প্রাণেশ হালদার, আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন এবং তাদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের জন্য আবেদন করা হবে।

এর আগে ইডি অর্থ পাচার সংক্রান্ত ভারতীয় আইনের মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট ৩ এবং ৪ ধারায় পি কে হালদারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। শুক্রবার তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আরও একটি মামলা হতে পারে।

ইডির আইনজীবী অরিজিত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রথম তিন দিনের জেরা শেষে প্রায় ১৫০ কোটি রুপির বেশি সম্পদের হদিস পেয়েছে ইডি। এমনকি গত ১০ দিনের রিমান্ড ও তল্লাশি অভিযানের পর ৩০০ কোটি রুপি মূল্যের আরও একাধিক লুকায়িত সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ইডি।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা আটককৃত ছয়জনের কাছ থেকে ২৪টি মোবাইল ফোনসহ ৮১টি ইলেকট্রনিক গ্যাজেট উদ্ধার করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ভারতে ৬ হাজার কোটি টাকা তথ্য পেলেও বাস্তবে এ সম্পদের পরিমাণ আরো কম বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

পাচারকৃত অর্থের বড় একটা অংশ পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা অন্যত্র সরিয়েছেন বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সেই অর্থ কোথায় সরিয়েছেন সে ব্যাপারে এখনো কিছু স্বীকার করেনি অভিযুক্তরা।

উদ্ধার করা ফোনের কললিস্ট থেকে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া কিছু সূত্রের নাম জানা গেছে। সূত্রগুলি দুবাই, সিঙ্গাপুর, কানাডাসহ কয়েকটি রাষ্ট্রের।

ইডির তদন্ত প্রক্রিয়ার পর এই মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইএর হাতে দেওয়া হতে পারে বলে অন্য ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্ব, ভারতীয় নথি, অনুপ্রবেশ, অর্থলগ্নি সংক্রান্ত একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করতে পারে সিবিআই। তবে সুলতানা ওরফে শর্মি হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন ইডি কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা, তিনি হতে পারেন এই তদন্তের তুরুপের তাস। কেননা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শর্মী নিজেকে পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদারের স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে নানামাধ্যমে জানা গেছে তিনি আসলে পি কে হালদারের বান্ধবী।

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/এসএটি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :