সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: ফেনীতে দুই ফায়ার ফাইটারের বাড়িতে শোকের মাতম
নিষ্পলক চোখে বাবার প্রতীক্ষায় আদরের সন্তানগুলো। পথ চেয়ে বিলাপে কাতরাচ্ছে স্ত্রী মর্জিনা ও স্বজনরা। স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ফেনীর ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন কাদের সবুজ ও বিএম কন্টেইনার ডিপোর শিফট ইনচার্জ শাহাদাতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
সবুজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পরিবারের কর্মক্ষম ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ বাবা-মা।
নিহত সবুজ ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের মাস্টার মো. ইউসুফের ছোট ছেলে। তার এক মেয়ে ও ছেলে সন্তান রয়েছে।
পরিবার ও স্বজনরা জানায়, সবশেষ ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসেন। শনিবার রাত ৯টায় স্ত্রী মর্জিনা আক্তারের সঙ্গে কথা হয়। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেডের ইউনিটের সঙ্গে ডিপোতে উদ্ধারের কাজে যোগ দেন। বিস্ফোরণের পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। রবিবার দুপুরে স্বজনরা জানতে পারেন চট্টগ্রাম মেডিকেলে তার মরদেহ রয়েছে। গ্রামের বাড়িতে মরদেহ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে।
ফায়ার ফাইটার সবুজ ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে সোনাগাজী ফায়ার স্টেশনে যোগদানের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন।
অপরদিকে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শাহাদাত মজুমদারের বাড়িতেও চলছে শোকের মাতম।
নিহত শাহাদাত সীতাকুণ্ড বিএম ডিপোতে শিফট ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের আমিন উল্লাহ মজুমদারের ছেলে। সবশেষ গত ৩ জুন তিনি ছুটি শেষে কাজে যোগ দেন।
তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের নিহত হওয়ার খবর পেয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন শাহাদাতের মা-বাবা। পরিবারের কর্মক্ষম বড় ছেলেকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ তারা। রবিবার রাতে গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহত শাহাদাত তিন বছর আগে একই এলাকায় বিয়ে করেন। তার আড়াই মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৬জুন/এসএ)