এবার পদ্মা সেতুতে শুরু হচ্ছে রেলপথ স্থাপনের কাজ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ জুলাই ২০২২, ২০:২১

দ্বিতল পদ্মা সেতুর উপরে সড়ক পথের পর এখন বাকি নিচতলার রেলপথের কাজ। সেতু হয়ে রেল যাবে ঢাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গে৷ সড়কপথের কাজ শেষ হওয়ায় এবার রেলপথ স্থাপনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সেতুপক্ষ থেকে রেল কর্তৃপক্ষে আজ থেকে সেতুতে দেওয়া হয়েছে কাজের অনুমতি।

রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জজিরা পর্যন্ত পুরো সেতুর রেলপথের অংশ পরিদর্শন করে সেতু ও রেলকর্তৃপক্ষের যৌথ পরিদর্শক দল। এসময় সেতু ভাইব্রেশনে মাত্রা, রেলপথের অবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করে পরিদর্শক দল। পরে জাজির প্রান্তে পৌঁছে বিষয়টি কাজের অনুমতি ও কাজ শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তারা।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, যৌথ টিমের পরিদর্শন করা হয়েছে। গত ৬ জুলাই আমাদের প্রকল্প পরিচালক চিঠি দিয়েছিলেন। ১৬ জুলাই আমরা সভা করবো, ১৭ তারিখ হস্তান্তর করবো। আমরা আজকে থেকে রেল কর্তৃপক্ষকে কাজের জন্য অনুমতি দিয়েছি। পুরো সেতু কর্তৃপক্ষের থাকবে, শুধু রেলট্র্যাকটি তাদের আওতায় থাকবে।

সড়ক পথে যানচলাচলে রেলপথের কংক্রিটিং কাজে কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সেতুতে ভাইব্রেশনের মাত্রা মাপা হয়েছে, ভাইব্রেশনে মাত্রা মাত্র পয়েন্ট ১৩ । যা একেবারেই কম। বিবিএ মনে করছে ভাইব্রেশনে কারণে রেলের কংক্রিটিং করতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। তারপরও তারা যদি আরও আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করে তবে সে ক্ষেত্রে যদি কোনো কিছু ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে গাড়ির কিছু গতি কমানো লাগলে লাগতেও পারে তবে না লাগার সম্ভাবনা বেশি। গাড়ি বন্ধের কোনো প্রশ্নই আসে না। উপরে যানচলাচল চলবে এবং নিচে তাদের কংক্রিটিংয়ের কাজ চলবে। এবং সেতুর অবশিষ্ট কাজগুলোও চলবে।

এদিকে ১ সপ্তাহের মধ্যে পর্যবেক্ষণ শেষে দ্রুতই সেতুতে রেলপথের কাজ শুরুর কথা জানান মাওয়া-ভাঙা সেকশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ।

তিনি জানান, অনেকদিন ধরেই আমরা চাচ্ছিলাম যে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু করব। আজকের এই শুভ দিনটি এসেছে। সবাই মিলে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করেছি। কিছুকাজ বাকি আছে, তবে সেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমে এটিকে পর্যবেক্ষণে নিব। চোখের দেখাতে খুব একটা ভাইব্রেশন হচ্ছে না, তবে এটি টেকনিক্যাল বিষয়, পুরোটাই যন্ত্রের মাধ্যমে করা হবে। সেক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যা হবে না, সমস্যা হলেও সেটির সমাধান আছে।

তিন আরো বলেন, আমরা আজকে প্রাথমিক পরিদর্শন করা হয়েছে, আগামীকাল থেকে কারিগরি বিষয় পরিদর্শন করা হবে। যদি ভাইব্রেশন বেশি হয় তবে পরীক্ষামূলক কাজ করা হবে, আর যদি দেখা যায় তেমন কোনো বড় সমস্যা নেই সেক্ষেত্রে মূলকাজই শুরু করা হবে। পর্যবেক্ষণের জন্য ১ সপ্তাহ সময় লাগবে। আমাদের যেসব যন্ত্রাংশ আছে, রেললাইন, স্লিপার সেগুলো মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে রাখা হবে এবং যতদ্রুত সম্ভব আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কাজ শুরু করবো। সড়ক পথের কোনো বিঘ্ন না ঘটিয়েই আমাদের কাজ শেষ করবো। কংক্রিট জমাট বাধার বিষয় রয়েছে, তবে এখানে ভাইব্রেশনের মাত্র একেবারেই কম, অন্যসকল সেতু থেকে কম। সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ ৬১ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনের ঢাকা থেকে ভাঙ্গা ও ২০২৪ সালের জুনে যশোর পর্যন্ত পুরো রেল অবকাঠামোর কাজ শেষ হবার কথা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :