ট্রেনের টিটি ও সুপারভাইজার: রক্ষকই যখন ভক্ষকের ভূমিকায়

রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনের টিকেট কিনতে গেলে দিতে হবে ভোটার আইডি কার্ড, এই নিয়ম করাতে খুশি হয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। কিন্তু এই নিয়ম শুধু যারা নিয়ম মেনে কাউন্টারে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট ক্রয় করেন তাদের জন্য। আবার যারা টিকেট ছাড়া ট্রেনে ওঠেন তাদের আবার কোনো ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে না, কারণ বগিতে থাকা টিটি ও সুপার ভাইজারদের তখন ভাগ্যের কপাল খুলে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, গত রাতে তুর্ণা এক্সপেস শ্রেণি-স্নিগ্ধা, কোচ নং- ছ,এসি। রাত সাড়ে ১১টায় কমলাপুর থেকে চট্টগ্রামের অভিমুখে যাত্রা। একটা বগিতে নিজের দেখা মতে একাধিক বিনা টিকেটের যাত্রী চোখে পড়ল। চেকার আসলো তবে কোনো টিকেট দেখল না। বুঝতে অসুবিধা হলো না, খুব সুন্দর করে সমন্বয় করে টিটি এবং সুপারভাইজার মিলে মিশে বিনা টিকেটের যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করে নীরবতা পালন করল। এতে রেলওয়ে হারাচ্ছে টিকের টাকা, আর নিরাত্তা হিনতায় সাধারণত যাত্রীরা এভাবে চলছে তুর্ণা এক্সপেস ট্রেনের অবস্থা। যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা করে তবে টিকিট বিহীন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে দুর্নীতিবাজ ও অনিয়মের হোতাদের দখলে। অনিয়মকারীদের মাঝে সুন্দর সমন্বয় রয়েছে। যা শুক্রবার রাতের যাত্রী হিসেবে স্পষ্ট বুঝতে অসুবিধা হলো না। রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকায়। আর এভাবেই দিনের পর দিন চলছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/এআর)

মন্তব্য করুন