'অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে পর্যটনের দায়িত্ব দেওয়া হবে’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:১৪ | প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:৪৬

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে নতুন পদ না তৈরি করে যে পাঁচ জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আছেন তাদের একজনকে পর্যটনের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এভাবে সামনে প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসককে পর্যটনের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘পর্যটনে নতুন ভাবনা’ প্রতিপাদ্যে আলোচনায় মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনের শৈলপ্রপাত হলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এসব কথা বলেন।

এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদর ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. জাবের।

পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, আগামী বছর আরো এক দুই মাস আগে থেকে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বড় ধরনের র‍্যালি করে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরব। বিশ্বে পর্যটন দিয়ে যেসব দেশের মাথাপিছু আয় অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে, সেই তুলনায় আমাদের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় অনেক বেশি প্রত্নতত্ত্ব আছে। পর্যটনের অনেক সম্ভাবনাময় স্থান রয়েছে। এটা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরবর্তী আমাদের সংবিধানে দেওয়া যে প্রতিশ্রুতি সেটাই দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব। এটাই হোক বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিশ্রুতি। আমরা সবাই মিলে কাজ করব।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন নিয়ে পজেটিভ নিউজ করেন। বিশ্ব দরবারে দেশের অপার সম্ভাবনা তুলে ধরেন। আমরা এভিয়েশনকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সাজানো যায় সেজন্য অনেক কাজ করেছি। প্রত্যেকটা বিমানবন্দরকে আমরা সেভাবে সাজিয়েছি। কক্সবাজারের বেসিক টুরিস্ট স্পটগুলোকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। কুয়াকাটায় আমাদের কাজ দ্রুত শুরু হবে। মাস্টার প্লান ফাইনাল হলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম চমক প্রদানকারী দেশ বাংলাদেশ তুলে ধরার জন্য, সেই জায়গায় দ্রুত সম্ভব পৌঁছাব। এটাই বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিশ্রুতি হোক।

বিশ্ব পর্যটন দিবসে ‘পর্যটনে নতুন ভাবনা’ প্রতিপাদ্যে সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। তারই অংশ হিসেবে আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শোভাযাত্রা করে সংস্থাটি।

সকালে আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এটি।

শোভাযাত্রার প্রথম সারিতে মোটরসাইকেল নিয়ে অংশ নেন টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। এরপর ছিল বাংলার আবহের ঐতিহ্য হিসেবে প্রতীকী পালকি। আর সেই পালকিতে দেখা মেলে নতুন বর-কনের। সেই সঙ্গে ছিল বাংলার আদিবাসী, জেলে, বাউলসহ নানা চরিত্র। ছিল ঐতিহ্যের ঘোড়ার গাড়ি ও হাতি।

শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদর, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. জাবের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শোভাযাত্রার বাইরে খাদ্য উৎসব, লাইভ কুকিং শো’র আয়োজন করেছে পর্যটন করপোরেশন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে ৩০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

সকাল ৭টা থেকেই পর্যটন ভবনের নিচতলার উন্মুক্ত স্থান ও সম্মুখে রাস্তার আইল্যান্ডে বসে বিভিন্ন খাবারের স্টল। এসব স্টলে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নানা রকম খাবার, পানীয়, পিঠা-পায়েস ছাড়াও বিদেশি বাহারি নানা পদও স্থান পেয়েছে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে দেশের পর্যটন বিষয়ক ছবি তুলে প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কার দেওয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এসকেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :