শীতে কাঁপছে দিনাজপুর

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর
 | প্রকাশিত : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:১২

হিমেল হাওয়া আর বৃষ্টির মতো গুঁড়ি গুঁড়ি ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতায় কাঁপছে উত্তরের জেলা দিনাজপুর। পৌষের তৃতীয় সপ্তাহে জেঁকে বসা শীতে পশু-পাখি প্রাণিকুলও নাস্তানাবুদ।

জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের গতিবেগ ০০৪ নটস। আদ্রতা ৯৫ শতাংশ।

শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশা মানুষের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বৃষ্টির মতো গুঁড়ি গুঁড়ি ঘন কুয়াশার কারণে ১০ গজের মধ্যেও চোখে পড়ছে না কিছুই। তীব্র শীতে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা কাহিল। সবচেয়ে বিপদে পড়েছে খেটেখাওয়া মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। দুর্ঘটনা এড়াতে দিনেও চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। রাজধানী ঢাকা থেকে দিনাজপুরে ছেড়ে আসা নৈশকোচগুলো ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা বিলম্বে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। শীতের প্রকোপে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়ে গেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, শীতের প্রকোপের উৎস হচ্ছে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বয়ে আসা কুয়াশা। আর এ জেলা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত।

বুধবার সকাল ৯টায় এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু, বৃহস্পতিবার তা কমে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। বাতাসের গতিবেগও বেড়েছে। সকাল ৬টায় ছিল ০০৫ এবং সকাল ৯ টায় তা ০০৪ নটসে রেকর্ড হয়েছে। এমন কুয়াশা আরও দুই-তিন দিন থাকবে।

শীতার্ত মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। এমন দৃশ্য হরহামেশাই চোখে পড়ছে। প্রতিদিনই বিকাল হলে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। পরদিন দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকছে। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ছিন্নমূল ও দিনমজুররা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে জেলার শ্রমিক ও বোরো চাষিরা মাঠে কাজ করছেন। ঘন কুয়াশা এবং শীতের প্রকোপে আলু এবং বোরো বীজতলাসহ ফসলের ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুগুলোও প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে। ঠান্ডা বেড়ে চলায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। শীতের প্রভাবে কাজ কর্ম অনেকটা কমে যাওয়ায় আয়-রোজগার নিয়ে তাদের চরম দুশ্চিন্তা।

জেলাজুড়ে দেখা দিচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ঠান্ডাজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।

(ঢাকাটাইমস/০৫জানুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :