অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর ফেনীর হাজেরা খাঁ দীঘি
প্রতিদিন অগণিত পাখির কিচির-মিচির শব্দে ঘুম ভাঙছে এলাকারবাসীর। পাখির এ কলতান উপভোগ করতে সকাল-বিকাল ভিড় করছেন পাখিপ্রেমীরা। শতশত অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর আলামপুর গ্রামের হাজেরা-খাঁ দীঘি; যা স্থানীয়ভাবে আজরাঈল দীঘি বলেই পরিচিত।
দীঘির পাড়ের বাসিন্দারা বলেন, সকালে তাদের ঘুম ভাঙে পাখির কুঞ্জানে। দিঘীতে আশ্রয় নেওয়া পাখিগুলো নির্বিঘ্নে ছোটাছুটি করলেও কেউ এগুলো ঢিল ছুড়ে বিরক্ত করে না। কোনো শিকারি অসৎ উদ্দেশ্যে জলাশয়ের কাছে আসে না।
দাগনভূঞা ইয়ুথ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী ইফতেখারুল আলম বলেন, প্রতি বছরের মতো শীতের শুরুতে অতিথি পাখি এই দিঘীতে এসেছে। স্বচ্ছ পানিতে ভিনদেশি অতিথি পাখির ছুটাছুটি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপভোগ করছেন স্থায়ী এলাকার পাখিপ্রেমী মানুষ। পাখি দেখতে আসা কামাল উদ্দিন খন্দকার নামে এক দর্শনার্থী বলেন, লোকমুখে অতিথি পাখির কথা শুনে দেখতে এলাম। এখানে এসে আমি মুগ্ধ। পাখির গুঞ্জনে পরিবেশটা ভালো লাগছে।
প্রবাসী নেতা এফটিভি পরিচালক হাফেজ হারুন মোস্তফা বলেন, পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা গেলে এবং এসব পাখির নিরাপত্তা দেয়া গেলে এরা হয়তো নিয়মিত আসবে। একই সঙ্গে পাখির বিচরণের জন্য বিল-জলাশয় ভরাট থেকেও আমাদের বিরত থাকতে হবে।
সানরাইজ ফাউন্ডেশন সদস্য মাস্টার এটিএম আতিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন অনেক মানুষ এখানে পাখি দেখতে আসেন। এমন মনমুগ্ধকর পরিবেশে হাজেরা-খাঁ দিঘীতে একবার ঘুরে আসলে পাখিদের কলকাকলিতে মুগ্ধ হবেন সকলেই।
ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান বলেন, ফেনীর বিভিন্ন দিঘীতে প্রতিবছরের মতো এবছরও শত শত পাখি এখানে এসেছে বলে জেনেছি। আগত এসব অতিথি পাখিদের অভয়রাণ্য ও যাতে কোন প্রকার সমস্যা না হয়, পাখি শিকারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ম্যাজিস্ট্রেটদের বলা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/এআর)