ইজতেমা শেষে বাড়ি ফিরতে মুসল্লিদের দুর্ভোগ
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে বাড়ি ফিরতে দুর্ভোগে পড়েন মুসল্লিরা। রাস্তায় পর্যাপ্ত গাড়ি না থাকায় পায়ে হেঁটেই রওনা হন অনেকে। এছাড়া, বাস- ট্রেনেও ছিলো উপচেপড়া ভিড়।
রাজধানী ঢাকার মহাখালী ও টঙ্গী হয়ে কালীগঞ্জ এবং ভৈরব রোড, ময়মনসিংহ রোড, টাঙ্গাইল রোড, শেরপুর রোড, কিশোরগঞ্জ রোড এবং গাজীপুর রোডের যাত্রীবাহী বাসগুলো দ্বিগুণ হারে নিজেদের ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে বলে একাধিক মুসল্লিরা অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়া মুসল্লিরা একযোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরার চেষ্টা করেন। এতে টঙ্গীর আশপাশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় জনজট ও যানজট। অনেকে আবার যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন। আর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসল্লিরা যানবাহনের টিকেট না পেয়ে বাসের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এছাড়া অনেককে বাড়তি ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়।
বাস যাত্রী হারুন ঢাকা টাইমসকে জানান, শনিবার মোনাজাত করার জন্য নরসিংদী থেকে এসেছি আজ মোনাজাত শেষ করে বাড়ি যাব। আজকে বাস ভাড়া দ্বিগুণ।
খোলা পিকআপ গাড়ির যাত্রী সালাম জানান, সকাল থেকে যাওয়ার সময় ভাড়া বেশি দিয়ে যেতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট রোডে বাদশা পরিবহন, চলনবিল, পিপিএল সুপার, উত্তরা পরিবহন, , আরও অনেক যাত্রীবাহী বাসগুলো দ্বিগুণ হারে নিজেদের ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে।
এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তুরাগ, ভিআইপি সাতাইশ, সু-প্রভাত, প্রভাতি বনশ্রী, অনাবিল, ছালছাবিল, জলসিঁড়ি, টঙ্গী-আশুলিয়া রোডে সেবা পরিবহন, অনেক পরিবহনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে।
অপর দিকে অনেক মুসল্লি সিএনজি, খোলা পিকআপে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা যায়।
(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এসএ)