বান্দরবানের রুমায় কেএনএফ সদস্য নিহতের ঘটনায় এলাকাবাসী গ্রামছাড়া

বান্দরবান প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৬

যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ সদস্যরা। পাহাড়ি এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর অবস্থানের কারণে আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

এদিকে রুমায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কেএনএফের এক সদস্য নিহত হয়েছে। রবিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আরথাহ পাড়া ও বাচলং পাড়ার মাঝামাঝি একটি স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানের কারণে কেএনএফের সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম বিভিন্ন পাড়ায় অবস্থান করছে। সেখানে সম্প্রতি গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। তাদের অবস্থানের কারণে আতঙ্কিত হয়ে বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে।

গত শনিবার রাতে পাইন্দু ইউনিয়নের মুয়ালপি পাড়ার ৪০ জন বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে রুমা উপজেলা সদরে চলে আসেন। পরে উপজেলা প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তাদের মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়।

এদিন রাতে মুয়ালপি পাড়া থেকে শিশু ও নারীসহ ৪০ জন বাসিন্দা গ্রাম ছেড়ে রুমা সদরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তায় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, রুমা সদর থেকে আট কিলোমিটার দূরে মুলপি পাড়া গ্রাম। ওই গ্রামে বম সম্প্রদায়ের ৮০টি ও মারমা সম্প্রদায়ের ৫১টি পরিবারের বসবাস। গ্রামটি দুর্গম এলাকায় হওয়ার কারণে ওই এলাকা দিয়ে কেএনএফ সদস্যরা প্রতিনিয়ত চলাফেরা করত। তাদের এই চলাচলের কারণে গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।

পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির কারণে পাড়ার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও আরও অনেকে পালিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। পাড়ায় এখন মানুষজন নেই।’

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন ৪০ জন বাসিন্দা। তারা বর্তমানে রুমা সদরে আশ্রয় নিয়েছেন।’

এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন শিবলী বলেন, ‘কেএনএফ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত হয়ে পাইন্দু ইউনিয়নের মুয়ালপি পাড়ার নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ ৪০ জন লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে রুমা সদরে চলে এসেছেন। তাদের রুমা সদরের মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/আরকেএইচ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :