পদ্মা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজ শেষ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনার পাঁচদিন পর শহিদুল ইসলাম (৩৮) নামে নিখোঁজ শেষ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পদ্মা আড়িয়াল খাঁ নদের সংযোগস্থলে মাদারীপুরের শিবচর এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে চরভদ্রাসন ও ঢাকার দমকল বাহিনীর দল।

শহীদুল ইসলাম গত ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুটি স্পিডবোটের সংঘর্ষের সময় মৈনট থেকে আগত বোটের যাত্রী ছিলেন।

শহীদুল একজন ব্যবসায়ী। ঢাকায় তার ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রির দোকান রয়েছে। তিনি চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের ফাজেল খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের শেখ চাঁন মিয়ার ছেলে।

শহীদুলের স্ত্রী যুথী আক্তার বলেন, পারিবারিক ও জমিজমার কাজের জন্য বাড়িতে আসছিলেন শহীদুল।

চরভদ্রাসন দমকল বাহিনীর স্টেশন ম্যানেজার মুর্তজা ফাকির বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জানতে পারি ওই এলাকা দিয়ে একটি মরদেহ নদী দিয়ে ভেসে যাচ্ছে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মন্ডল বলেন, মরদেহটি স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজ শহিদুলের বলে শনাক্ত করেছে তার বড় ভাই মো. শাহজাহান।

চরভদ্রাসন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির বলেন, স্পিডবোট দুর্ঘটনায় পাঁচ জন নিখোঁজ ছিলেন বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার দুজন ও গত বুধবার আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ নিখোঁজ ব্যক্তি শহিদুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি দাফন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে শহীদুলের পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

ইউএনও আরও বলেন, নিখোঁজের আর কোন তালিকা না থাকায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একটি স্পিডবোট মৈনট থেকে যাত্রী নিয়ে গোপালপুর ঘাটের দিকে আসছিল। পাশাপাশি গোপালপুর ঘাট থেকে একটি যাত্রীবিহীন স্পিডবোট মৈনট ঘাটের দিকে যাওয়ার পথে ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত তিনজন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/এসএ)