মানববন্ধনে বক্তারা

বিবার্তা-জাগরণ আইপি টিভির অফিসে ভাঙচুর-চুরি গণমাধ্যমের জন্য অশনিসংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:৪৯ | প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:১৮

অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিবার্তা২৪ডটনেট ও জাগরণ আইপি টিভির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও চুরির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন বিবার্তা ও জাগরণ টিভির সুহৃদ ও স্বজনেরা।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলার চেয়ে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো হামলার অভিযোগ থানায় গ্রহণ না করা। আর সন্দেহভাজনদের কথা উল্লেখ করে মামলা করতে গেলেও তিনদিনেও মামলা নেওয়া হয়নি।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিবার্তা ও জাগরণ টিভির সুহৃদ ও স্বজনদের উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলার চেয়ে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো হামলার অভিযোগ থানায় গ্রহণ না করা। সন্দেহভাজনদের কথা উল্লেখ করে মামলা করতে গেলে তিনদিনে তাদের মামলা গ্রহণ করা হয়নি।’

গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় করা মামলার পাশাপাশি পুলিশ মামলা গ্রহণ না করার বিষয়টিও তদন্ত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মামলা গ্রহণ করতে এতো অনীহা কেন- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘অপরাধীরা কী এতোই শক্তিশালী? মালিকপক্ষ অগাধ সম্পত্তির মালিক। তাহলে কি ন্যায়ের চেয়ে সম্পত্তি বড় হয়ে গেল? তার আজ্ঞাবহ হতে হবে? এটা আমাদের সংবিধান বলে না।’

অবিলম্বে বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও সঠিক তদন্ত করে বিচারের আওয়তায় আনার দাবি জানান তিনি।

জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীন বলেন, ‘জামায়াতের ডোনার বিএনপি নেতা পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলামের নির্দেশে বিবার্তা-জাগরণ অফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলা দেশের জন্য অশনি সংকেত।’

তিনি বলেন, ‘তারা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে নির্মিত ‘মাইক’ সিনেমার এডিটেড ফাইনাল ফুটেজের পোর্টেবল হার্ডডিস্ক চুরি করে নিয়ে গেছে। আগামী মার্চ মাসের শুরুতে সিনেমাটি মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। এই হার্ডডিস্ক না পেলে নির্ধারিত সময়ে সিনেমাটি মুক্তি দিতে পারব না।’

অতি দ্রুত ফুটেজ খুঁজে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এফ এম শাহীন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যত হাজার কোটি টাকার মালিক হোন না কেন আমরা রাস্তায় দাঁড়াতে জানি। রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আমরা ভয় পাই না। আমরা ভেঙে পড়িনি। আমরা রুখে দাঁড়াব।’

এসময় গণমাধ্যম অফিসে হামলা ও ভাঙচুরকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তিনি।

বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, অবিলম্বে এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’

ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে বিবার্তা ও জাগরণ আইপি টিভির কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। কালকে যে আরেকটি গণমাধ্যমের ওপর হামলা হবে না, তার জবাব কে দেবে? আর আজকে পুলিশ প্রশাসনও পরিকল্পিতভাবে একটি পক্ষ নিচ্ছে। ভাবা যায়? আমরা কোথায় আছি? অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।’

সাংবাদিক শাহনেওয়াজ দুলাল বলেন, ‘লজ্জায় মাথা নুয়ে আসে এ রকম একটি জঘন্য ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে হচ্ছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। আর এই ঘটনা পুলিশকে আগে ম্যানেজ করে ঘটানো হয়েছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ পুলিশ এ ঘটনায় মামলা নিতে নানা গড়িমসি করছে।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহনাজ পলি বলেন, ‘এ রকম একটি জঘন্য ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের বিচারের দাবিতে দাঁড়াতে হবে, সেটা কখনো কল্পনা করতে পারিনি। অথচ বলা হয়, গণমাধ্যম নাকি সমাজের আয়না। কিন্তু সেই আয়নাকে কীভাবে তছনছ করা হচ্ছে, সেটা কে দেখবে? শুধু তাই নয়, এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয় না। পুলিশের কাজ কী?’

এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তিনি।

সাংবাদিক নেতা শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন (শেখ জামিল) বলেন, ‘যারা এ দুটি গণমাধ্যমে হামলা করেছে তারা হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে নতুন ধারা বাংলাদেশের সভাপতি মোমিন মেহেদী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় সেই সময়ে তারই রাজনৈতিক কর্মী ও সংবাদ যোদ্ধার কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। দেশ যখন এগিয়ে চলছে তখন এই দেশে একটি চক্র অগ্রগতি বাধাগস্ত করতে ষড়যন্ত্র করছে। এই শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।’

জয় বাংলা সাংবাদিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান বাবু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার জন্য বিবার্তা ও জাগরণ কাজ করছে। সরকারের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই সময়ে গণমাধ্যম অফিসে হামলার নিন্দা জানাই। অবিলম্বে হামলাকরীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি।’

লায়ন মোহাম্মদ কেফায়েত উল্লাহ বলেন, ‘বিবার্তা ও জাগরণ স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী গণমাধ্যম। কখনোই স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে কম্প্রোমাইজ করেনি। তাদের কার্যালয়ে হামলায় আমি বাকরুদ্ধ ও চিন্তিত।

ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রজেন্টেটিভ এসোসিয়েশনের (ফারিয়া) শফিক রহমান বলেন, ‘গণমাধ্যমের মুখ যাতে কেউ বন্ধ না করতে পারে প্রশাসনকে সেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবির রায়হান বলেন, ‘অনলাইন গণমাধ্যম বিবার্তা২৪ডটনেট ও জাগরণ আইপি টিভির কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর-চুরি করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা এবং একই সঙ্গে গণমাধ্যমের জন্য অশনি সংকেত। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/জেএ/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

গণমাধ্যম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

গণমাধ্যম এর সর্বশেষ

সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি

ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের নতুন সভাপতি মুক্তাদির, সম্পাদক জাওহার

আরআরএফের সভাপতি মিজান, সম্পাদক নিশাত ও দপ্তর সম্পাদক মেহেদী

সাংবাদিক নেতা রমিজ খানের ইন্তেকাল, বিএফইউজের শোক

ঈদের ছুটি না পাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের যথাযথ সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজের

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

নড়াইল জেলা সাংবাদিক ইউনিটি-ঢাকার নতুন কমিটি গঠন

সাংবাদিক মিনার মাহমুদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সাংবাদিক সাব্বিরের ওপর নৃশংস হামলায় ঢাকাস্থ গাজীপুর সাংবাদিক ফোরামের নিন্দা

বাংলানিউজকর্মী মিথুনের ক্যানসার চিকিৎসায় এগিয়ে এলো বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :