কালশী উড়ালসড়ক: গতি আসবে মিরপুর-উত্তরা-মহাখালী চলাচলে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৪ | প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৪৭

মিরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে কালশী উড়ালসড়কের। আজ রবিবার সকাল ১০টায় এ উড়ালসড়কটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কালসী বালুর মাঠের জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উড়ালসড়কটি চালু হলে এই পথে দীর্ঘদিনের যানজট থেকে মুক্তির নতুন পথ দেখছেন নগরবাসী। এ উড়ালসড়কের মাধ্যমে মিরপুর থেকে উত্তরা, বিমানবন্দর, বনানী, মহাখালী থেকে যাতায়াতের পথ সুগম হবে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ বলছে, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এ উড়ালসড়কটি। এই উড়ালসড়ক মিরপুরের নতুন গেটওয়ে তৈরি করবে। শুধু এই উড়ালসড়কই নয়, এর সঙ্গে নিচের প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক, নতুন ফুটওভার ব্রিজ আর ফুটপাথ সব মিলিয়ে এই অঞ্চলের যোগাযোগে নতুন দিগন্ত খুলবে বলেও মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, উড়ালসড়কটি মিরপুরবাসীর জন্য একটি বড় পুরস্কার হবে। সেখানে কোনো যানজট হবে না। উড়ালসড়কের নিচে ফুটপাত ও সাইকেল লেন করা হয়েছে। দুটি ফুটওভার ব্রিজও করা হয়েছে।

নগরীর ব্যস্ততম এই পথে যানজট একটি নিয়মিত চিত্র। বৃহত্তর মিরপুরে ঢুকতে কিংবা বের হতে এই কালশী মোড়ে গাড়ির চাপে প্রতিনিয়তই ভুগতে হয় এই পথে চলাচলকারীদের।

যাত্রী ও বাসচালকরা জানান, এ রাস্তায় অনেক জ্যাম (যানজট) হতো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হতো। এ উড়ালসড়কটি হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি এখন অনেক কমে যাবে বলে তাদের আশা।

উড়ালসড়কটি ব্যবসা-বাণিজ্যের পণ্যপরিবহনে অনেক সহায়ক হবে বলেও জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলাকাভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধানের এমন উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদে পুরো নগরীর যানজট সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

ইসিবি চত্বর থেকে সরাসরি এ উড়ালপথ ধরে চলে যাওয়া যাবে পল্লবী কিংবা মিরপুরে। মূল উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য দুই হাজার ৩৩৫ মিটার। ৪৭৫ মিটারের র‌্যাম্প রয়েছে পাঁচটি। ৬৮টি স্প্যানের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এ উড়ালসড়কের গার্ডার সংখ্যা ১৭টি।

(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :