ক্ষোভে ফুঁসছে আলফাডাঙ্গা, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতকারীদের গ্রেপ্তার দাবি

সম্প্রতি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রাম হাওড়ের ব্রিজ সংলগ্ন চর কামারগ্রাম, চর বাকাইল খ্যাত এলাকায় রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ফেস্টুন বিকৃত ও নষ্ট করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। এ ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন উপজেলার আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল ১০টায় আলফাডাঙ্গা-গোপালপুর সড়কের কামারগ্রাম হাওড়ের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছেন গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী বিভিন্ন ব্যানার ও প্লেকার্ড নিয়ে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করা মানে বাংলাদেশকে আঘাত করা, মুক্তিযুদ্ধকে আঘাত করা। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই বাংলাদেশের নাগরিক আমরা। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু একই সূত্রেই গাঁথা। এর যে কোনো একটির অপমানে সংক্ষুব্ধ হই। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের ঘাঁটি এই আলফাডাঙ্গায় যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করা হয়, নষ্ট করা হয়, এর থেকে দুঃখজনক ঘটনা আর কোনো কিছু হতে পারে না। আমি থানা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিষ্কার ঘোষণা দিচ্ছি, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত ওই দুষ্কৃতিকারী, দুর্বৃত্তদের যদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় না আনে তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীম সুজা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি যারা বিকৃত করেছে আমি তাদের ধিক্কার জানাই। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করবে, যারা এই ন্যাক্কারজন কাজের সঙ্গে জড়িত আপনারা এর সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। যদি তা না পারেন তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। জবাব কীভাবে দিতে হয় তা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভালোভাবে জানেন।