কাজে আসছে না তিন কোটি টাকার সেতু

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি বাজার ও মহল্লাপাড়া যাতায়তের সেতুর কাজ শেষ হলেও দুই প্রান্তের মাটি ভরাটের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। প্রায় তিন কোটি টাকার সেতুটি জনগণের কোন কাজে আসছে না। দীর্ঘদিন ধরে কাঠের সাঁকো দিয়েই পার হতে হচ্ছে জনগণের। এতে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। বর্ষা মৌসুমে এ কাঠের সাঁকো দিয়ে চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সেতুর দুই প্রান্তের মাটি ভরাটের কাজ শেষ করে সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করে দেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।
এদিকে সেতুর সংযোগস্থলের জায়গা নিয়ে স্থানীয়দের সাথে জটিলতা থাকায় মাটি ভরাটের কাজ আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শাহিন গিয়াস উদ্দিন জেবি কন্সট্রাকশন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
উপজেলা প্রকৌশলী নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি বাজার সংলগ্ন এ সেতুটির ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। ২১ সালের মে মাস থেকে ২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে এখন পর্যন্ত এর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। এ ব্রিজটি দিয়ে ইউনিয়নের মহল্লাপাড়া, চিঙ্গুড়িয়া, দশকানী, ছোনখলা, চরপাড়া, পশরবুনিয়া ও উত্তর লালুয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নিয়মিত যাতায়ত করে থাকেন। তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয়সহ বিভিন্ন কাজে জেলা ও উপজেলা শহরে এ ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া পায়রা কর্তৃপক্ষ ও শের-ই-বাংলা নৌঘাটির লোকজনদেরও বিভিন্ন সময়ে এ ব্রিজটি ব্যবহার করতে হয়। অথচ এ ব্রিজের দুই প্রান্তের সংযোগ সড়কের মাটি ভরাটের কাজ অসমাপ্ত থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সকলকে।
স্থানীয় একাধিক পথচারী বলেন, জমি নিয়ে যে বিরোধ ছিল- শুনেছি, তার সমাধান হয়েছে। তাহলে কি কারণে ব্রিজের সংযোগস্থলে এখন তারা মাটি দিচ্ছে না সে বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নয়।
বানাতী বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মো. রুবেল হাওলাদার বলেন, ব্রিজটির সংযোগ কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিনিয়ত এখানে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। জরুরি রোগী পারাপারে অনেক বেগ পোহাতে হয়।
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটি অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ব্রিজের দুই প্রান্তে কাঠের সাঁকো সংযুক্ত করে কোন রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তবে জনগণের স্বার্থে ব্রিজটির সংযোগস্থলের মাটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
স্থানীয়রা জমি না ছাড়ায় ব্রিজের সংযোগ কাজ আটকে রয়েছে বলে মন্তব্য করে উপজেলা প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ণ বলেন, জায়গা নিয়ে জমির মালিকদের সাথে জটিলতা থাকায় ব্রিজের কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে। তবে, তারা জমি ছেড়ে দিলে আমরা দ্রুত কাজ শেষ করব।
(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/এলএ)

মন্তব্য করুন