ঠাকুরগাঁওয়ে যুবলীগ নেতাকে মারপিটের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১০ মে ২০২৩, ২২:৫৯
অ- অ+

ঠাকুরগাঁওয়ে বৈশাখী মেলার সামনে থেকে যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান পুলককে তুলে থানায় নিয়ে মারপিটের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।

বুধবার ভুক্তভোগী জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক বাদী হয়ে সদর থানার ওসি মো. কামাল হোসেনসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।

ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ মামলাটি আমলে নিয়ে আসাদুজ্জামান পুলকের ভাঙ্গা হাতের এক্স-রে সহ তার শারীরিক প্রতিবেদন ও ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারকে একটি মোকদ্দমা রজু করার নির্দেশ প্রদান করেন এবং এ ঘটনায় নিরপেক্ষ ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য জেলায় কর্মরত একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার চত্বরে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় দর্শনার্থী হিসেবে যায় জেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক খালিদ সিরাজ রকি। এসময় কতিপয় ছেলে অকারণে হট্টগোল করলে এতে সে বাঁধা দেয় এবং তাদের ঝগড়া নিরসনের চেষ্টা করে।

এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে কোনকিছু না শুনে রকিকে মারধর শুরু করে এবং টেনে-হেচড়ে পুলিশ ভ্যানে নেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক। এসময় তিনি ওসি মো: কামাল হোসেনকে যুবলীগ নেতা রকিকে আটকের বিষয়ে ও মারধরের কারণ জানতে চান। কিন্তু ওসি তার কথা না শুনে পুলকের উপর চড়াও হয়ে রকি ও পুলককে মারধর করতে করতে থানায় নিয়ে যান। এরপর ওসির রুমে ঢুকিয়ে চোখে গামছা বেধে ও হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আসাদুজ্জামান পুলককে বেধড়ক পিটিয়ে বাঁ হাত ভেঙে দেন।

এ সময় হাসপাতালে নিয়ে মানুষ দেখানো চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে গেলে সেখানে হাতের এক্স-রে করার কথা বললেও পুলিশ তা না করিয়ে মেলা কর্তৃপক্ষের কোন লিখিত অভিযোগ না পেয়ে ১৫১ ধারায় একটি মামলা করেন। পরদিন পুলক ও রকিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গত ২ মে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জামিন মঞ্জুর হলে তিনি ভাঙা হাতের এক্সরে করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মামলায় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন (৪৭), সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) মো: লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায় (৩৬), এসআই মোতালেব (৩৭) ও এএসআই মো: হাফিজ (৩৪) কে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১০মে/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
যুগোপযোগী ইন্টারেক্টিভ ওয়েবসাইট উদ্বোধন করলো হাইওয়ে পুলিশ
‘হিজড়া জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে রূপান্তরের কোনো বিকল্প নেই’
ভারতকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে পাকিস্তান: শেহবাজ শরিফ
আইইউবিএটি’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এম. আলিমউল্যা মিয়ানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা