ঘূর্ণিঝড় মোখার ভয়ে আধা পাকা ধান কাটছেন কৃষকরা

সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর
| আপডেট : ১২ মে ২০২৩, ১০:৪৫ | প্রকাশিত : ১২ মে ২০২৩, ১০:৪১

ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষতির শঙ্কায় আধা পাকা ধান কাটছেন মাদারীপুরের কৃষকরা। বিগত বছরগুলোতে ঝড়ে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ায় এ বছর আগেভাগেই ক্ষেত থেকে ধান কাটছেন তারা। ইতোমধ্যে নিন্মাঞ্চলের রোপা, ইরি ধান কেটে ঘরেও নিয়েছেন অনেক কৃষক।

মাদারীপুর জেলা কৃষি অফিস ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে জেলার ৫৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি।

মাদারীপুরের গৌদি এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকায় ধান কাটার মহোৎসব চলছে। কারোই দম ফেলার ফুসরত নেই। এক সঙ্গে দলবেঁধে ধান কাটছেন কৃষকরা।

কৃষক মিলন ভূইয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমার প্রায় তিন বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। ধানও মোটামুটি ভালো হয়েছে। আর সপ্তাহখানিক মাঠে থাকলে ধানটা পুরো পুষ্ট হতো, কিন্তু শুনতেছি কয়েক দিনের মধ্যে নাকি ঝড়-তুফান হবে। তাই আগেভাবেই ধান ঘরে উঠাইতেছি। এতো কষ্টের ফসল যাতে বেহাত না হয়, সেদিকে নজর রেখেই ধান কাটছি।’

আরেক চাষি আমজেদ মাতুব্বর ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘গতবারও ধান পাকার শেষ দিকে ঝড় এসে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার আর সেই ভুল করবো না, ক্ষতির আগেই ধান কাইটা ঘরে তুলবো। তবে আগের মতো আর ধানে লাভ নাই। সার বীজ আর সেচের কারণে লাভের চেয়ে লসই বেশি হয়। তারপরে যদি ঝড়ে ক্ষতি হয়, তাহেল আমাদের বাঁচার পথ থাকবে না।’

মাদারীপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর জেলায় ৩৩ হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমিতে রোপা বোরো আবাদ হয়েছে। যা গতবারের চেয়েও ৫৫০ হেক্টর বেশি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ২২০ মেক্ট্রিক টন ধান। যেখান থেকে চাল উৎপাদনের পরিমাণ হবে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৫ মেক্ট্রিক টন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সন্তোষ চন্দ্র চন্দ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মাদারীপুর জেলায় ইতোমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ধান পেকেছে। মাঠে এখনো ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কাঁচা ধান রয়ে গেছে। ফলে কৃষকদের আগেভাগে ধান কাটার পর্রামশ দিচ্ছি। আশা রাখি আগামী ১৫ থেকে ১৬ মের মধ্যে পুরো ধান পেকে যাবে, তবে ভয়ের কারণে আগেই ধানতে কৃষকদের অনুরোধ করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুত ৪৬৩ আশ্রয়কেন্দ্র

তিনি বলেন, মাদারীপুর জেলায় প্রধান খাদ্য উৎপাদনকারী পণ্য হচ্ছে ধান। তাই কৃষকদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বরাবরই আমাদের থাকে।

প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের কায়াকপুরে আঘাত হানতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকা। এ সময় গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার।

(ঢাকাটাইমস/১২মে/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :