মোখার তাণ্ডব: টেকনাফের আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছেনি খাবার

ঘূর্ণিঝড় মোখার আক্রমণ থেকে বাঁচতে কক্সবাজারের টেকনাফে প্রায় ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আজ দুপুর দেড়টা থেকে প্রচন্ড বেগে সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপে মোখা’র তাণ্ডব শুরু হয়েছে। শাহপরীর দ্বীপে ভোররাত থেকে স্থানীয় লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে শাহপরীর দ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, দুটি কেন্দ্রে প্রায় এক হাজার মতো লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের অনেকে আজ ভোররাত থেকে কেন্দ্রে এসেছেন। মাইকিং করার সময় বলা হয়েছিল আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। কিন্তু বিকাল চারটা পর্যন্ত সময়েও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে কোনধরনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি।
আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ক্ষুধার জ্বালায় ছোট ছোট বাচ্চারা কান্নাকাটি শুরু করেছে। প্রাপ্তবয়স্করাও খাবার খুঁজছেন। অনেকে নিজেদের টাকা শুকনো খাবারের জন্য প্রচন্ড বাতাসের ঝুঁকিতেও আশ্রয় কেন্দ্রের বাইরে গিয়ে দোকানপাট বন্ধ থাকায় খাবারের যোগান পেতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
শাহপরীর দ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া মো. ইয়াছিন বলেন, সাইক্লোন সেল্টারে এসেছি অনেকক্ষণ হয়েছে। ছেলেমেয়েদের এখনো কিছু খাওয়াতে পারিনি। এখন আমাদের কাছে যেকোন ধরনের খাবার দরকার।
কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানরত লোকজন জানান, দুপুর একটার দিকে খাবার প্রস্তুত করে গাড়ি রওনা হওয়ার সময়েই প্রচন্ড বাতাস শুরু হয়। রাস্তায় গাছ পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা দ্রুত সময়ে কেন্দ্রগুলো খাবার পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। খাবার সব আশ্রয় কেন্দ্রেই যাবে।
(ঢাকাটাইমস/১৪মে/এআর)

মন্তব্য করুন